ঘূর্ণিঝড় ‘অশনি’র প্রভাবে চট্টগ্রাম মহানগরীতে জান-মালের ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে আগাম প্রস্তুতি শুরু করেছে বিভিন্ন সংস্থা। চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে দামপাড়া কার্যালয়ে চালু করা হয়েছে নিয়ন্ত্রণ কক্ষ।
এদিকে মঙ্গলবার (১০ মে) সকাল থেকে সমুদ্র পাড়ের ঘাটগুলোতে লোকজন এবং ছোট ও মাঝারি আকারের নৌযান যাতে গভীর সমুদ্রে না যায়, সেজন্য মাইকিং শুরু করেছে নৌ পুলিশ। গভীর সমুদ্রে থাকা ছোট ও মাঝারি আকারের নৌযান এবং মাছ ধরার ট্রলারগুলো সোমবার বিকাল থেকে উপকূলের কাছে নিরাপদ স্থানে নোঙর শুরু করেছে।
পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিস সূত্র জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড় অশনি আজ সকাল ৬টায় চট্টগ্রাম বন্দর থেকে এক হাজার ১৮০ কিলোমিটার, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ৪০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে ছিল। বাংলাদেশের সমুদ্রবন্দরগুলোকে ২ নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। উত্তর বঙ্গোপসাগরের সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে উপকূলের কাছাকাছি সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের জনসংযোগ কর্মকর্তা আবুল কালাম চৌধুরী বাংলা ট্রিবিউনকে জানান, ‘ঘূর্ণিঝড়ের ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। খোলা হয়েছে নিয়ন্ত্রণ কক্ষ। যেকোনও প্রয়োজনে নিয়ন্ত্রণ কক্ষের ০৩১-৬৩০৭৩৯ ও ০৩১-৬৩৩৬৪৯ নম্বরে জানানোর অনুরোধ করা হয়েছে।’
জেলা প্রশাসনের স্টাফ অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পিযূষ কুমার চৌধুরী জানান, ‘আজ দুপুরে ঘূর্ণিঝড় নিয়ে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসকের জুম মিটিং আছে। কী নির্দেশনা দেওয়া হয় তার ওপর ভিত্তি করে প্রস্তুতি নেওয়া হবে।’
নৌ পুলিশের চট্টগ্রাম অঞ্চলের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোমিনূল ইসলাম ভূইয়া জানান, ‘ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে সকাল থেকে সাগরের পাড়ে সচেতনতা তৈরিতে নৌ পুলিশের পক্ষ থেকে মাইকিং করা হচ্ছে। লোকজন যাতে সমুদ্রে না নামে এবং ছোট ও মাঝারি আকারের নৌযানগুলো গভীর সমুদ্রে না গিয়ে উপকূলের আশপাশে নিরাপদে থাকে, সেজন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দেওয়া হচ্ছে।’