Image default
বাংলাদেশ

ঘূর্ণিঝড় ইয়াস চলে গেলেও রেখে গেছে ক্ষত চিহ্ন

ঘূর্ণিঝড় কেটে গেলেও রেখে গেছে ক্ষত চিহ্ন। ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাব কাটতে না কাটতেই পূর্ণিমার প্রভাবে আবারো প্লাবিত হচ্ছে গলাচিপার নিম্নাঞ্চল। এদিকে ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে গলাচিপা উপজেলার পৌরসভাসহ ১১টি ইউনিয়নে রাস্তাঘাটসহ ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এসব ক্ষয় ক্ষতির সঠিক তথ্য পাওয়া না গেলেও প্রাথমিক তথ্য মতে কমপক্ষে ১০ হাজার মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার ঘূর্ণিঝরের ৪থ দিনেও প্লাবিত হয়েছে আগের ১৭টিসহ অন্তত নতুন তিনটি গ্রাম। উপজেলা প্রশাসন ও সংশ্লিষ্ট গ্রামবাসী সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

গলাচিপা উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিস সূত্রে জানা গেছে, গলাচিপা উপজেলায় দুর্যোগ কবলিত পৌরসভা ও ১১টি ইউনিয়ন। এসব এলাকায় দুর্গত মানুষের সংখ্যা কমপক্ষে ১০ হাজার। গলাচিপা পৌরসভাসহ দুর্গত ইউনিয়নগুলো হলো আমখোলা, গোলখালী, গলাচিপা সদর, পানপট্টি, রতনদীতালতলী, ডাকুয়া, চিকনিকান্দি, চরকাজল, চরবিশ্বাস ও কলাগাছিয়া। এসব এলাকায় বেড়িবাঁধের ক্ষতি হয়েছে ১৪৯০ মিটার।এ ছাড়া প্লাবিত হয়েছে ১৭টি গ্রাম (বৃহস্পতিবার নতুন করে তিনটি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে)। গ্রামগুলো হলো নবগ্রাম, গ্রামর্দ্দন, নিজহাওলা, ভায়িার হাওলা, লেবুবুনিয়া, তেতুলতলা, চরবাংলা, বোর্ড স্কুল, দক্ষিণ চরআগস্তি, চরকারফার্মা, পক্ষিয়া, লোন্দা, ছোট শিবা, বড়চরকাজল, ইছাদী, উত্তর আমখোলা, উলানিয়া,গজালিয়া। এসব এলাকায় ঘরবাড়ি আংশিক বিধ্বস্ত হয়েছে কমপক্ষে ৪০০টি। প্লাবিত এলাকায় ২২০০ মানুষকে খাদ্য সহায়তার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।এ প্রসঙ্গে গলাচিপা উপজেলা নির্বাহী অফিসার আশিষ কুমার বলেন, বুধবার থেকেই আমরা দুর্গত বিভিন্ন এলাকায় জরুরি খাদ্য সহায়তা দেওয়া শুরু করেছি। আশাকরি শুক্রবার সকালে উপজেলার সব এলাকার দুর্গতরা সরকারি ত্রাণ সহায়তা পাবেন। তিনি আরো বলেন, ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব কাটতে না কাটতেই পূর্ণিমার প্রভাবে আবারো বিভিন্ন এলাকা প্লাবিত হয়েছে। তাই আমরা এখনো ক্ষয় ক্ষতির সঠিক হিসেব পাইনি।

Related posts

নতুন রূপে সেজেছে কুয়াকাটা, লক্ষাধিক পর্যটকের অপেক্ষায়

News Desk

২৪ ঘণ্টায় ৮২ জনের মৃত্যু

News Desk

‘সাহেব আর নেই, মনটারে বুঝাইতে পারতেছি না’

News Desk

Leave a Comment