পর পর দুদিন প্রাণঘাতী করোনার তাণ্ডবে ৪ জনের প্রাণ গেল চট্টগ্রামে। এই নিয়ে করোনায় চট্টগ্রামে প্রথম মৃত্যুর ১ বছর ১ মাসের মাথায় প্রাণহানি পেরোল ৬০০। চট্টগ্রামে ২০২০ সালের ১১ এপ্রিল সাতকানিয়ায় করোনা উপসর্গ নিয়ে মৃত একজনের দেহে করোনাভাইরাসের অস্তিত্ব পাওয়া গিয়েছিল। এরপর চট্টগ্রামে করোনায় প্রাণহানি নিয়মিত ঘটনায় পরিণত হয়। অন্যদিকে, গত ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রামে নতুনভাবে করোনা শনাক্ত হয়েছেন ৯৩ জন। নতুন আক্রান্তদের মধ্যে নগরের ৬৪ জন এবং উপজেলায় ২৯ জন।
এ নিয়ে চট্টগ্রামে মোট আক্রান্ত গিয়ে দাঁড়াল ৫২ হাজার ৭৩৬ জনে। এদের মধ্যে ৪২ হাজার ১১৬ জন নগরের এবং ১০ হাজার ৬২০ জন বিভিন্ন উপজেলার বাসিন্দা। আক্রান্তদের মধ্যে মারা গেছেন ৬০২ জন। যাদের ৪৩৪ জন নগরের এবং ১৬৮ জন উপজেলার। মঙ্গলবার (২৫ মে) চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে প্রকাশিত প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। প্রতিবেদন অনুযায়ী, চট্টগ্রামের ৭টি ও কক্সবাজারের ১টি ল্যাবে ৭৫৫ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। তাতে ৯৩ জনের করোনা শনাক্ত হয়। যাদের মধ্যে নগরীর ৬৪ জন এবং বিভিন্ন উপজেলার ২৯ জন।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবে গত ২৪ ঘণ্টায় ১২৮ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। তাতে করোনা পজিটিভ পাওয়া যায় ২১ জনের নমুনায়। এদের মধ্যে নগরের ৬ জন এবং ১৫ জন বিভিন্ন উপজেলার বাসিন্দা। চট্টগ্রামের প্রধান করোনা পরীক্ষাগার বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল অ্যান্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস (বিআইটিআইডি) ল্যাবে ৩২১ জনের নমুনা পরীক্ষায় ১৬ জনের দেহে করোনার জীবাণু পাওয়া গেছে। যাদের মধ্যে ৮ জন নগরের, বাকি ৮ জন উপজেলার বাসিন্দা।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ল্যাবে ২১ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। তাতে ৭ জনের দেহে করোনার জীবাণু পাওয়া গেছে। তাতে নগরেই ৬ জন এবং উপজেলার ১ জন। চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি অ্যান্ড অ্যানিম্যাল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় (সিভাসু) ল্যাবে গত ২৪ ঘণ্টায় ২০১ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ২৭ জনের শরীরে করোনা পাওয়া গেছে। এদের মধ্যে ২৪ জন নগরের, ৩ জন উপজেলার।
চট্টগ্রাম নগরীর বেসরকারি করোনা পরীক্ষাগার ইম্পেরিয়াল হাসপাতাল ল্যাব ও শেভরন ল্যাবে গত ২৪ ঘণ্টায় কারও নমুনা পরীক্ষা হয়নি। চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতাল ল্যাবে ২৭ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ১০ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এদের ৯ জনই নগরের এবং ১ জন উপজেলার বাসিন্দা।
মেডিকেল সেন্টার হাসপাতাল ল্যাবে ৯ জনের নমুনা পরীক্ষায় নগরের ২ জনের করোনা মিলেছে। চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের রিজিওনাল টিবি রেফারেল ল্যাবরেটরিতে (আরটিআরএল) ৪২ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ১০ জনের শরীরে করোনা পজিটিভ পাওয়া গেছে। এদের মধ্যে ৯ জন নগরের এবং ১ জন উপজেলার।
এছাড়া কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ ল্যাবে চট্টগ্রামের ৬ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। তাতে সবগুলোতে করানো নেগেটিভ আসে। উপজেলা পর্যায়ে শনাক্ত ২৯ জনের মধ্যে টানা দ্বিতীয় দিনের মতো হাটহাজারী উপজেলাতেই সর্বোচ্চ ১০ জন করোনা শনাক্ত হয়। সীতাকুণ্ড উপজেলায় শনাক্ত হয় ৮ জন। এছাড়া, রাউজান উপজেলায় ৫ জন, বোয়ালখালীতে ৩ জন, ফটিকছড়িতে ২ জন এবং লোহাগাড়ায় ১ জন করোনা শনাক্ত হয়।