চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে একটি কেন্দ্রের বাইরে দুই প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া এবং রেললাইনের পাশে আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার (২১ মে) দুপুরে হাটহাজারী উপজেলার ফতেপুর ইউনিয়নের জোবরা পি পি উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রের বাইরে এই ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্র জানিয়েছে, হাটহাজারী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদের মোটরসাইকেল প্রতীকের প্রার্থী রাশেদুল আলম ও ঘোড়া প্রতীকের প্রার্থী সোহরাব হোসেন নোমানের সমর্থকদের মধ্যে কেন্দ্রে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বাগবিতণ্ডা হয়। এ সময় দুই পক্ষের লোকজন ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ায় জড়িয়ে পড়েন। একপর্যায়ে এ কেন্দ্রের সামনে থাকা রেললাইনের পাশে আগুন ধরিয়ে দেন। সংঘর্ষের সময় পরস্পরের মধ্যে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেন তারা।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যায় র্যাব, বিজিবি ও পুলিশ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে তারা বেশ কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোড়ে। তবে বাইরে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটলেও কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ স্বাভাবিক ছিল। তবে এ ঘটনায় পুলিশ কাউকে আটক করতে পারেনি।
হাটহাজারী থানার ওসি মনিরুজ্জামান বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ফতেপুর ইউনিয়নের জোবরা পি পি উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রের বাইরে দুই পক্ষের সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। তবে কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ স্বাভাবিক ছিল। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে। সেখানে স্ট্রাইকিং ফোর্স কাজ করছে।
এদিকে, ফটিকছড়িতে কেন্দ্র পরিদর্শনে গেলে জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান হাটহাজারীতে দুই প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা স্বীকার করে বলেন, আমাদের দেশে যে নির্বাচনি সংস্কৃতি এখানে দেখা যায়, প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের সমর্থক এবং কর্মীদের মধ্যে অনেক উৎসাহ উদ্দীপনা কাজ করে। এর থেকে অনেক সময় দেখা যায় তাদের মধ্যে হট্টগোল হয়ে থাকে। হাটহাজারীর জোবরা কেন্দ্রে এ ধরনের একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনার কথা শুনেছি। সেখানে এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট আছেন এবং পরিস্থিতির সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। ভোটগ্রহণে কোনও সমস্যা হয়নি।
মঙ্গলবার (২১ মে) চট্টগ্রামে দ্বিতীয় ধাপে তিনটি উপজেলায় ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত এ ভোট গ্রহণ চলবে। চট্টগ্রামের হাটহাজারী, রাঙ্গুনিয়া ও ফটিকছড়ি উপজেলায় এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে।