প্রাণঘাতী করোনায় আবারও মৃত্যুহীন দিন গেল চট্টগ্রামে। একই সময়ে করোনা শনাক্ত হয়েছে একশ ছুঁই ছুঁই-৯৯ জন। এদের মধ্যে ৫৬ জন নগরীর এবং ৪৩ জন বিভিন্ন উপজেলার বাসিন্দা। এ নিয়ে চট্টগ্রামে করোনাভাইরাসে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল ৫২ হাজার ৯৭১ জন। যার মধ্যে চট্টগ্রাম নগরীর ৪২ হাজার ২৫৭ জন আর চট্টগ্রামের বিভিন্ন উপজেলার ১০ হাজার ৭১৪ জন। আর মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৬০৪ জনে। যাদের মধ্যে নগরীর ৪৩৫ জন আর বিভিন্ন উপজেলার ১৬৯ জন।
বৃহস্পতিবার (২৭ মে) চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে প্রকাশিত প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। প্রতিবেদন অনুযায়ী, চট্টগ্রামের সরকারি-বেসরকারি ৭টি ও কক্সবাজারের ১টি ল্যাবে ১ হাজার ৭৯ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। তাতে ৯৯ জনের করোনা শনাক্ত হয়। যাদের মধ্যে নগরীর ৫৬ জন এবং বিভিন্ন উপজেলার ৪৩ জন। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবে গত ২৪ ঘণ্টায় ১৯১ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। তাতে করোনা পজিটিভ পাওয়া যায় ৩৪ জনের নমুনায়। এদের মধ্যে নগরের ১১ জন এবং ২৩ জন বিভিন্ন উপজেলার বাসিন্দা।
চট্টগ্রামের প্রধান করোনা পরীক্ষাগার বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল অ্যান্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস (বিআইটিআইডি) ল্যাবে ৩১০ জনের নমুনা পরীক্ষায় ১১ জনের দেহে করোনার জীবাণু পাওয়া গেছে। যাদের মধ্যে ৯ জনই নগরের, বাকি ২ জন উপজেলার বাসিন্দা। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ল্যাবে ২৪ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। তাতে ৪ জনের দেহে করোনার জীবাণু পাওয়া গেছে। যাদের ২ জন করে নগর ও উপজেলার বাসিন্দা। চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি অ্যান্ড অ্যানিম্যাল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় (সিভাসু) ল্যাবে গত ২৪ ঘণ্টায় ১৬৮ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ২৬ জনের শরীরে করোনা পাওয়া গেছে। এদের মধ্যে ১৮ জন নগরের, ৮ জন উপজেলার।
চট্টগ্রাম নগরীর বেসরকারি করোনা পরীক্ষাগার ইম্পেরিয়াল হাসপাতাল ল্যাবে ২৪ ঘণ্টায় কারও নমুনা পরীক্ষা করা হয়নি। শেভরন ল্যাবে গত ২৪ ঘণ্টায় ১৩৯ জনের নমুনা পরীক্ষা করে নগরের ৮ জন এবং উপজেলার ২ জনের করোনা পজিটিভ পাওয়া যায়। চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতাল ল্যাবে ৪১ জনের নমুনা পরীক্ষা করে নগরের ৫ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। মেডিকেল সেন্টার হাসপাতাল ল্যাবে ১৩ জনের নমুনা পরীক্ষায় নগরের ৩ জনের করোনা মিলেছে।
চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের রিজিওনাল টিবি রেফারেল ল্যাবরেটরিতে (আরটিআরএল) গত ২৪ ঘণ্টায় কারও নমুনা পরীক্ষা করানো হয়নি। এছাড়া কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ ল্যাবে চট্টগ্রামের ১৯৩ জনের নমুনা পরীক্ষা করানো হয়। তাতে উপজেলার ৬ জনের দেহে ভাইরাসটির উপস্থিতি পাওয়া গেছে। উপজেলা পর্যায়ে শনাক্ত ৪৩ জনের মধ্যে ফটিকছড়ি উপজেলাতেই সর্বোচ্চ ৯ জনের দেহে করোনা পাওয়া যায়। এছাড়া, রাউজান ও বাঁশখালী উপজেলায় ৮ জন করে শনাক্ত হয়। হাটাহাজারী উপজেলায় ৭ জন, বোয়ালখালীতে ৩ জন, আনোয়ারা ও মিরসরাইয়ে ২ জন করে এবং পটিয়া, রাঙ্গুনিয়া, সীতাকুণ্ড ও সন্দ্বীপে ১ জন করে করোনা শনাক্ত হয়।