ঘূর্ণিঝড় ‘হামুন’-এর আঘাতে চট্টগ্রামের ১৫টি উপজেলার মধ্যে ২৫টি ইউনিয়নে ৮৫ জন আহত হয়েছেন। মারা গেছেন ২ জন। মঙ্গলবার (২৪ অক্টোবর) রাতে ঘূর্ণিঝড়ের আঘাতে এ হতাহতের ঘটনা ঘটে। জেলা ত্রাণ ও পুর্নবাসন কর্মকর্তা মো. ছাইফুল্লাহ মজুমদার বুধবার (২৫ অক্টোবর) বিকালে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
ঘূর্ণিঝড়ে বৈদ্যুতিক খুঁটি ও গাছপালা উপড়ে সংযোগ লাইন বিচ্ছিন্ন হয়ে বিদ্যুৎহীন অবস্থায় আছে বাঁশখালী ও চন্দনাইশ উপজেলার বেশ কিছু ইউনিয়ন।
মো. ছাইফুল্লাহ মজুমদার বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড় হামুনের আঘাতে সবচেয়ে বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে উপকূলীয় উপজেলা বাঁশখালীতে। এ উপজেলায় অধিকাংশ ইউনিয়ন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এসব উপজেলাসহ পুরো জেলায় ঘূর্ণিঝড়ে দুর্গত মানুষের সংখ্যা এক লাখ ১১ হাজার ৮১৮ জন। এতে অন্তত পাঁচ হাজার ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর মধ্যে আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত বাড়িঘরের সংখ্যা চার হাজার ৭৮৪টি এবং সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্ত বাড়িঘরের সংখ্যা ২৮৩ টি।’
তিনি আরও বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড়ে গাছপালা ভেঙে এবং ঘর ভেঙে পড়ে অন্তত ৮৫ জন আহতসহ দুই জন মারা গেছেন। এর মধ্যে একজন বাঁশখালীতে অপরজন সাতকানিয়ায়। এতে ১১টি গরু-মহিষ মারা গেছে।’
জেলা প্রশাসকের কার্যালয় সূত্র জানায়, ঘূর্ণিঝড়ে মৎস্য খাতে ক্ষতি হয়েছে এক কোটি ১০ লাখ টাকা, বন বিভাগের ক্ষতি এক কোটি টাকা, বিদ্যুৎ খাতে ক্ষতি এক কোটি পাঁচ লাখ টাকাসহ আরও বিভিন্ন খাতে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
সাতকানিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মিল্টন বিশ্বাস জানান, উপজেলার খাগরিয়া ইউনিয়নে গাছচাপায় বকুমা খাতুন (৬৫) নামে এক নারী নিহত হয়েছেন। বিভিন্ন গ্রামে অনেক গাছপালা ভেঙেছে। গাছ ও ডালপালা ভেঙে বিদ্যুতের লাইন বিচ্ছিন্ন হয়েছে। ১২৩টি ঘরের আংশিক ক্ষতি হয়েছে বলে প্রাথমিক তথ্য এসেছে।
চট্টগ্রাম পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ বাঁশখালী জোনাল অফিসের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার (ডিজিএম) রিশু কুমার ঘোষ জানান, ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে বাঁশখালীতে ৩৩ কেভি লাইনের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এ উপজেলায় অন্তত ২০টি বৈদ্যুতিক খুঁটি ভেঙে পড়েছে। মেরামতের কাজ চলছে।