চট্টগ্রাম নগরীর বায়েজিদ বোস্তামী থানাধীন রৌফাবাদ এলাকায় একটি চারতলা ভবন হেলে পড়ার স্থান পরিদর্শন করেছে এ ঘটনা তদন্তে গঠিত কমিটি।
সোমবার (২৭ নভেম্বর) বেলা ১১টার দিকে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের অতিরিক্ত ম্যাজিস্ট্রেট মামুনুর রহমানের নেতৃত্বে পরিদর্শনে যান তদন্ত কমিটির সদস্যরা। এ সময় তারা হেলে পড়া ভবন সংশ্লিষ্ট সকলের সঙ্গে কথা বলেন।
উপস্থিত ছিলেন কাট্টলী সার্কেলের সহকারী কমিশনার (ভূমি) উমর ফারুক, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন, গণপূর্ত ও চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের প্রতিনিধিরা।
সংশ্লিষ্টরা জানান, হেলে পড়া ভবনটির পেছনে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) খাল খনন প্রকল্পের কাজ বাস্তবায়ন করছে সেনাবাহিনী। সেই খাল খনন করায় ভবনের পিলার দুর্বল হয়ে পড়েছে বলে বাসিন্দারা দাবি করেছেন। অপরদিকে সিডিএ’র প্রধান প্রকৌশলী জানিয়েছেন, হেলে পড়া ভবনটি অপসারণ করার কথা ছিল এবং ভবনের মালিক অপসারণের জন্য সময় নিয়েছিলেন।
চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান বলেন, ‘ঘটনা তদন্তে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ৭ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। কমিটিতে সিএমপি’র প্রতিনিধি, সিটি করপোরেশনের প্রতিনিধি, সিডিএ’র প্রতিনিধি, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট, ফায়ার সার্ভিসের প্রতিনিধি, পিডব্লিউডি’র প্রতিনিধিকে রাখা হয়েছে। কমিটি প্রয়োজনে চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষজ্ঞদের মতামত গ্রহণ করবে। ৭ দিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে। আজকে কমিটির সদস্যরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। ভবন সংশ্লিষ্ট সবার সঙ্গে কথা বলেছেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘আগামীকালের মধ্যে ভবন সংশ্লিষ্টরা সকল কাগজপত্র নিয়ে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের সঙ্গে দেখা করবেন। সব তথ্য-উপাত্ত যাচাই করে নির্দিষ্ট দিনের মধ্যেই তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়া হবে।’
শনিবার (২৫ নভেম্বর) সন্ধ্যা ৬টার দিকে নগরীর বায়েজিদের পশ্চিম শহীদ নগর তৈয়্যবিয়া হাউজিং সোসাইটিতে খোরশেদ ম্যানসন নামে একটি চারতলা ভবন হেলে পড়ে।
ফায়ার সার্ভিসের বায়েজিদ বোস্তামী স্টেশনের সিনিয়র অফিসার মো. কামরুজ্জামান বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘বায়েজিদে খোরশেদ ম্যানসন নামে একটি চারতলা ভবন হেলে পড়েছে। পার্শ্ববর্তী একটি পাঁচতলা ভবনের সঙ্গে সেটি হেলে পড়ে। তবে এ ঘটনায় কেউ হতাহত হয়নি। পাঁচতলা ভবনসহ পাশের আরেকটি চারতলা ভবনেও ফাটল ধরে। এ কারণে ফায়ার সার্ভিসের ৩টি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে হেলে পড়া ভবনসহ মোট ছয়টি ভবনে বসবাসকারী ১০০ পরিবারকে সরিয়ে দেয়।’