২২ লটে বিভিন্ন ধরণের প্রায় ২২ টন কাপড়সহ মোট ৭৪ লট পণ্য বিক্রির নিলাম প্রক্রিয়া শুরু করেছে চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউস কর্তৃপক্ষ। এসব কাপড়ের মধ্যে রয়েছে নিট, ওভেন ও পলিস্টার ফেব্রিক, টি-শার্ট, সোয়েটার ও কম্বলের কাপড়। কাপড় ছাড়াও অন্যান্য ৫২ লটে আছে দুই হাজার সিঙ্গেল ফেস ইলেক্ট্রিক মিটার, টেক্সটাইল কেমিকেল, বিভিন্ন ওয়াটের লিড প্যানেল লাইট, ক্যালেন্ডার ও ডায়েরি, ব্যাটারি, এরেক্স ব্যান্ডের চামড়ার জুতা, প্লস্টিক হ্যাঙ্গার, প্লাস্টিকের খালি ছোট জার, অফিস ফাইল, ড্রাগন ফল, কাঁচের ছোট আইসক্রিম কাপ, প্লাস্টিক শিট ও রাবার, ক্যাবল টাই, রেকসিন ক্লথ, কমপ্রেসার, দরজার মেটাল ফিটিংস, লোহার তার, সিকিউরিটি ট্যাগ ইত্যাদি।
গত ১৮ মে থেকে বছরের এই নবম নিলামের ক্যাটালগ ও দরপত্র বিক্রি শুরু হয়েছে। আগামী ২৫ মে ঢাকা ও চট্টগ্রামে একযোগে নিলাম নিলামের বক্স খোলা হবে। ‘যেখানে যে অবস্থায় আছে সে ভিত্তিতে এবং শর্তযুক্ত পণ্যের ক্ষেত্রে শর্ত প্রতিপালন (রিট মামলা নিষ্পত্তিসহ) সাপেক্ষে’ নিলামে এসব পণ্য বিক্রি হবে।
আগামী ২৪ মে অফিস চলাকালীন সময় পর্যন্ত এই নিলামের ক্যাটালগ ও দরপত্র সংগ্রহ করা যাবে। সরকারি নিলাম পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স কে এম কর্পোরেশন এই নিলাম পরিচালনা করছে। অফিস চলাকালীন সময়ে মাঝিরঘাটের মেসার্স কে এম কর্পোরেশন অফিস থেকে, চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউসের নিলাম শাখায় ও ঢাকার ৫২ মতিঝিল ঠিকানা থেকে নির্ধারিত মূল্য পরিশোধ করে নিলামের দরপত্র ও ক্যাটালগ সংগ্রহ করা যাবে। সে ক্যাটালগ ও দরপত্র নিলামের দিন অর্থাৎ ২৫ মে ২টা পর্যন্ত জমা দেওয়া যাবে। এর ত্রিশ মিনিট পর দুপুর আড়াইটায় নিলাম কার্যক্রম শুরু হবে।
নিলামের দরপত্র জমা দেওয়া যাবে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের রাজস্ব কর্মকর্তা (প্রশাসন) এর দপ্তরে, চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসকের দপ্তরে ও ঢাকার কাকরাইলে অবস্থিত শুল্ক আবগারি ও ভ্যাট কমিশনারেটের যুগ্ম-কমিশনার (সদর) এর দপ্তরে। ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান যে কেউ এই নিলামে অংশগ্রহণ করতে পারবে। নিলামে অংশগ্রহণ করতে প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে দরপত্রের সাথে হালনাগাদ করা ট্রেড লাইসেন্স, ভ্যাট রেজিস্ট্রেশন সনদ, টিন সার্টিফিকেটের কপি দাখিল করতে হবে। এছাড়া ব্যক্তির ক্ষেত্রে জাতীয় পরিচয়পত্রের কপি এবং হালনাগাদ টিন সার্টিফিকেটের কপি অবশ্যই দাখিল করতে হবে। এছাড়া ক্যাটালগে বর্ণিত নিলাম সংক্রান্ত সকল শর্তাদি যথাযথভাবে পালন করতে হবে।