Image default
বাংলাদেশ

চরফ্যাসনে পুলিশের সামনে বোনকে মারধর, ঘর ভাঙচুর-লুটপাট

গাছের ডাব নারিকেল পাড়া নিয়ে ঝগড়ার শুরু। তিন বোন ও এক ভাইয়ের বিরুদ্ধে বড় ভাই ইয়াছিন থানায় মিথ্যা অভিযোগ করে ডেকে নেন পুলিশ। পুলিশের উপস্থিতিতে বড়বোন আয়েশাকে মধ্যযুগীয় কায়দায় মারধর ও নির্যাতন করা হয়। পুলিশ সহয়তায় গুরুতর আহত বড়বোন আয়েশাকে উদ্ধার করে চরফ্যাসন হাসপাতালে ভর্তি করে। বোন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় থাকায় শনিবার রাতের আঁধারে জানালা ভেঙে ঘরে ঢুকে ভাঙচুর ও লুটপাট করা হয়। চর কলমী ইউনিয়নের দক্ষিণ মঙ্গল গ্রামের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সুলতান মেম্বারের পুরাতন বাড়িতে ধারাবাহিক ভাবে ঘটেছে এই ঘটনা।

বড় বোনকে নির্যাতনের ঘটনায় চরফ্যাসন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আয়েশার ছোটভাই শাহিন বাদী হয়ে রোববার বড়ভাই ইয়াছিন, তার স্ত্রী শারমিন, শ^শুর ওই ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ইয়াছিন বেপারী, শাশুড়ি সুশিলা বেগম, আবদুল মান্নানসহ ৫জনকে আসামী করে শশীভূষণ থানায় অভিযোগ দাখিল করেছেন।

অভিযোগকারী আহত আয়েশার ছোট ভাই জানান, বেশকিছু ঋন রেখে বাবা আবু মোতলেব মারা যান। মৃত বাবার ঋন পরিশোধ এবং সম্পদ বণ্টন নিয়ে এক সপ্তাহ আগে পিতার বাড়িতে (সুলতান মেম্বারের পুরাতন বাড়ি)৬ ভাইবোন মিলিত হন। ওই দিন গাছের নারিকেল পাড়া নিয়ে বড়বোন ইয়ানুরের সাথে ভাই ইয়াছিনের ঝগড়া হয়। ঝগড়ার সূত্রে ধরে ভাই ইয়াছিন মারধর করেন বড় বোন ইয়ানুরকে। ইয়ানুরকে মারধর করে উল্টো ভাই ইয়াছিন অপর ভাই বোনদেরকে ঘায়েল করতে নিজে বাদি হয়ে ৩ বোন ইয়ানুর ও আয়েশা, রানু বিবি এবং আমাকে আসামী করে ১৯ মে শশীভূষণ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেন। একদিন পর গত শুক্রবার শশীভূষণ থানার পুলিশ ঘটনাস্থল তদন্তে যান।

পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে দরখাস্তকারী ভাই ইয়াছিনের শ^শুর ওই ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ইয়াছিন বেপারীর ইন্দনে ভাই ইয়াছিন, ও তার স্ত্রী সারমিন, শ্যালক সুমন, বহিরাগত সন্ত্রাসী আবদুল মান্নান, পলাশসহ কয়েকজন মিলে বড়বোন বিবাদী আয়েশাকে থানা পুলিশের উপস্থিতে মারধর করে। মারধরে গুরুতর আহত বিবাদী বড়বোন আয়েশাকে উদ্ধার করে চরফ্যাসন হাসপাতালে ভর্তি করি আমি এবং অপর স্বজনরা।

তিনি চরফ্যাসন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় শনিবার রাতে জানাল ভেঙ্গে আয়েশা ঘরে ঢুকে ভাঙচুর ও লুটপাট করে। লুট করে হাতিয়ে নেয় টাকা পয়সা, জমির দলিলসহ মালামাল। অভিযুক্ত ইয়াছিন জানান, আমার ভাই ও বোনরা মিলে আমার স্ত্রীকে মারধর করেছে। পরে আমি থানায় লিখিত অভিযোগ দেই।

অভিযোগের তদন্তকারী কর্মকর্তা শশীভূষণ থানার উপ-পরিদর্শক দুলাল হোসেন জানান, মামলা তদন্ত করে চলে আসার পর পরই আবারও দুই পক্ষে মধ্যে মারামারি ঘটনা ঘটে। পরে খবর পেয়ে ফের ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে। আহত আয়েশাকে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

Related posts

গাজীপুরে দুই কারখানার আগুন নিয়ন্ত্রণে, ১০ শ্রমিক আহত

News Desk

অপরাধ দমনে সিএমপির ১৬ থানায় শুরু হচ্ছে মোটরবাইক প্যাট্রলিং

News Desk

ফেরিতে ঘরমুখী যাত্রীদের চাপ ও অতিরিক্ত গরমে ৫ জনের মৃত্যু

News Desk

Leave a Comment