কুমিল্লার চান্দিনায় লিবারেল ডেমোক্র্যাটিক পার্টি (এলডিপি) ও ছাত্রলীগের সংঘর্ষে দুই ছাত্রলীগ নেতা গুলিবিদ্ধ হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। সোমবার (৯ মে) দুপুরে চান্দিনা পৌরসভার রেদওয়ান আহমেদ কলেজের সামনের মাঠে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় এলডিপি মহাসচিব ও কুমিল্লা-৭ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ড. রেদওয়ান আহমেদকে হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ। সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (দাউদকান্দি সার্কেল) মো. ফয়েজ ইকবাল এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গুলিবিদ্ধ দুই ছাত্রলীগ কর্মী হলেন মাহমুদুল হাসান জনি ও নাজমুল হাসান।
এলডিপি মহাসচিবের ওপর হামলার অভিযোগ, ফাঁকা গুলি ছুড়ে ‘আত্মরক্ষা’
স্থানীয়রা জানান, পৌরসভার রেদোয়ান আহমেদ ডিগ্রি কলেজ ক্যাম্পাস এলাকায় এলডিপির পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। ওই সময় ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীরাও একই স্থানে কর্মীসভার আয়োজন করে। পরে উভয়পক্ষই দুপুরে কলেজের সামনে কর্মসূচি পালনে সমবেত হয়। পাল্টাপাল্টি সমাবেশ চলাকালে এলডিপির মহাসচিব ড. রেদোয়ান আহমেদের গাড়ি সমাবেশস্থলে আসে। এ সময় ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা গাড়ি লক্ষ্য করে ধাওয়া করে।
পরে গাড়িতে অবস্থানরত এলডিপির মহাসচিব ড. রেদোয়ান আহমেদ গাড়ি থেকে নিজের পিস্তল থেকে দুই রাউন্ড গুলি ছোড়েন বলে অভিযোগ উঠে। এতে ছাত্রলীগের দুই জন গুলিবিদ্ধ হন। ঘটনার পরপরই পুলিশ ড. রেদোয়ান আহামেদকে পিস্তলসহ হেফাজতে নেয়। বর্তমানে তিনি পুলিশ হেফাজতে আছেন। এ ঘটনার পর থেকে পৌর এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।
কুমিল্লা উত্তর জেলা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক লিটন সরকার বলেন, ‘রেদোয়ান আহমেদ চান্দিনার মাটিতে বর্বরোচিত ঘটনা ঘটিয়েছেন। তিনি নিজ হাতে আমার নেতা-কর্মীদের গুলি করেছে। তারা হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবি করছি।’
রেদওয়ান আহমেদ কলেজের অধ্যক্ষ মো. মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘গত ৫ মে পৌর এলডিপি সভাপতি আমার কাছে ঈদ পুনর্মিলনী করার অনুমতি চেয়ে আবেদন করেন। আমি কলেজ সভাপতির সঙ্গে আলোচনা করে পর দিন ৬ মে পৌর এলডিপিকে কলেজ মাঠে ঈদ অনুষ্ঠান করার অনুমতি দিয়েছিলাম।’
চান্দিনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক ফাসিতরহা আক্তার বলেন, গুলিবিদ্ধ দু্ জনকে মোটরসাইকেলে করে হাসপাতালে আনা হয়েছিল। তবে তাদের অবস্থার অবনতি হওয়ায় প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (দাউদকান্দি সার্কেল) মো. ফয়েজ ইকবাল বলেন, ঘটনাস্থলে পুলিশ আছে। রেদওয়ান সাহেব পুলিশ হেফাজতে আছেন। ঘটনার তদন্ত করে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।