ঈদের ছুটি শেষ হওয়ায় গত দুই দিন ধরে কাজে যোগ দিতে শুরু করেছে দক্ষিণ অঞ্চলের বিভিন্ন এলাকার মানুষ। তবে কর্মস্থলে ফেরার মানুষ ধাপে ধাপে ফিরতে শুরু করায় শিবচরের বাংলাবাজার ফেরিঘাটে স্বাভাবিক অবস্থা বিরাজ করছে। গত দুই দিনের তুলনায় যাত্রী চাপ কমেছে ফেরিঘাটে। একই চিত্র বাংলাবাজার লঞ্চ ও স্পিডবোট ঘাটে।
বাংলাবাজার ঘাট সূত্রে জানা যায়, রবিবার (৮ মে) সকাল থেকে সব ধরনের অফিস শুরু ও ঘাট এলাকায় গত দুই দিনের চেয়ে যাত্রীবাহী পরিবহন কম আসায় লঞ্চ ও স্পিডবোটে যাত্রীদের চাপ কমেছে। শনিবার বিকালে ফেরি সার্ভিসে যোগ হয়েছে একটি বড় টানা ফেরি। এছাড়া গতকাল দিন-রাত ফেরিসার্ভিস চালু থাকায় প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাস ও হালকা যানবাহনের চাপ ঘাটে কমে এসেছে।
ঘাট কর্তৃপক্ষের দাবি, রবিবার বিকাল পর্যন্ত যাত্রী ও পরিবহন চাপ কিছুটা থাকবে। এরপর থেকে ঘাটের অবস্থা স্বাভাবিক হয়ে আসবে।
সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত সরেজমিনে বাংলাবাজার ঘাটে অবস্থান করে দেখা যায়, ঘাটের ৩ নম্বর ফেরি ঘাটে শতাধিক ছোট যানবাহন পারাপারের অপেক্ষায় রয়েছে। ঘাট এলাকায় দুটি রো রো ফেরি রয়েছে। এতে অন্তত ৬০টি যানবাহন পার করা যাবে বলে বিআইডব্লিউটিসির বাংলাবাজার ঘাট সূত্রে জানা যায়।
অন্যদিকে লঞ্চঘাটেও যাত্রীর চাপ কমেছে। দূরপাল্লার পরিবহন কম আসায় ঘাটে যাত্রী তুলনামূলক কম দেখা গেছে। ঘাটে স্পিডবোটও নোঙর করে রয়েছে।
খুলনা থেকে আসা প্রাইভেটকার চালক জসিম বলেন, ‘সকালে ঘাটে এসেছি। ঘাটে ছোট যানবাহনের চাপ নেই। স্বাভাবিকভাবে পারাপার হচ্ছে সেগুলো। গতকাল শুনেছিলাম ঘাটে অনেক চাপ। তবে আজ তা দেখছি না।
বরিশাল থেকে আসা গাড়িচালক রানা মিয়া বলেন ঘাটে বড় ফেরি চলাচল করায় যানবাহনের চাপ কমতে শুরু করেছে। গতকাল টিভিতে দেখলাম অনেক গাড়ির চাপ। আজ একেবারেই ফাঁকা।
মাদারীপুরের পুলিশ সুপার গোলাম মোস্তফা রাসেল বলেন, ‘ঈদ শেষে কর্মজীবী মানুষদের যাত্রা নির্বিঘ্ন করতে বাংলাবাজার ঘাটে পর্যাপ্ত পুলিশ মোতায়েন আছে। আমাদের কোনও পুলিশের বিরুদ্ধে সিরিয়াল বাণিজ্যের অভিযোগ উঠলে প্রমাণ সাপেক্ষে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
বিআইডব্লিউটিসি’র বাংলাবাজার ঘাটের ব্যবস্থাপক মো. সালাউদ্দিন বলেন, ‘শনিবার বিকালের পর থেকে ঘাটে চাপ অনেকটাই কমে এসেছে। ঘাটে আগের মতো যানবাহনও নেই। রাতেই ঘাটে আটকে পড়া অনেক যানবাহন পার করা হয়েছে। ঘাটে এখন যে চাপ আছে, তা বিকালের মধ্যেই স্বাভাবিক হয়ে আসবে।’