স্বজনদের সঙ্গে ঈদ শেষে রাজধানী ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলায় কর্মস্থলে ফিরতে শুরু করেছেন কর্মজীবী মানুষেরা। দেশের দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চলের ২১ জেলার প্রবেশদ্বার বলে খ্যাত পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটে যাত্রীদের চাপ বেড়েছে।
যাত্রীরা বলছেন, ঈদ শেষে স্বজনদের রেখে কর্মস্থলে ফিরতে কষ্ট হচ্ছে। তবে ঘাট এলাকায় ভিড় থাকলেও স্বস্তির কথা জানান তারা। পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটে ১৮টি ফেরি ও ২০টি লঞ্চ চলাচল করছে।
শনিবার (২২ জুন) সকাল থেকেই কর্মস্থলে ফেরা মানুষের চাপ বাড়তে থাকে ঘাট এলাকায়। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তা আরও বেড়ে যায়। রাস্তাঘাট ফাঁকা থাকায় স্বস্তি নিয়ে কর্মস্থলের উদ্দেশে ঘাট পার হচ্ছেন যাত্রীরা। তবে স্বজনদের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগির পর তাদের রেখে আসতে কষ্ট হচ্ছে বলে জানান তারা।
হোসাইন নামের এক যাত্রী বলেন, ‘বাবা-মা ও স্ত্রী-সন্তানের সঙ্গে ঈদ কাটালাম। খুব ভালো লাগলো। এখন তাদের রেখে আসতে কষ্ট হচ্ছে। তারপরও যেতে হবে, না গেলে চাকরি থাকবে না।’
মাহফুজ নামের আরেক যাত্রী বলেন, ‘এবার ঘাটে কোনও ঝামেলা হয়নি। তবে ভাড়াটা বেশি নিয়েছে। রাস্তা ফাঁকা আছে, সব মিলিয়ে ভালোভাবে আসতে পেরেছি।’
ঘাট কর্তৃপক্ষ জানায়, শনিবার বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে দূরপাল্লার পরিবহন এবং প্রাইভেটকারের চাপ বাড়ছে। তবে এই নৌপথে পর্যাপ্ত ফেরি চলাচল করায় পারাপার স্বাভাবিক রয়েছে।
এদিকে, ঘাটের জিরো পয়েন্ট থেকে দৌলতদিয়া মডেল হাইস্কুল পর্যন্ত দুই কিলোমিটার যানবাহনের সারি তৈরি হয়েছে।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি) দৌলতদিয়া ফেরিঘাটের ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) মো. সালাহ উদ্দিন বলেন, ‘আমাদের বহরে থাকা ১৮টি ফেরি যানবাহন ও যাত্রী পারাপারে চলাচল করছে। তবে ঘাটে কিছু যানবাহনের সিরিয়াল রয়েছে। তবে যাত্রীরা স্বস্তিতে পারাপার হচ্ছেন।’