জরুরি ভিত্তিতে করোনাভাইরাসের টিকা পেতে ছয়টি দেশ নিয়ে চীনের উদ্যোগে নতুন প্ল্যাটফর্ম ‘ইমার্জেন্সি ভ্যাকসিন স্টোরেজ ফ্যাসিলিটি ফর কোভিড ফর সাউথ এশিয়া’তে যোগ দিচ্ছে বাংলাদেশ। দক্ষিণ এশিয়ার ছয়টি দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে বৈঠকের পর গণমাধ্যমকে একথা জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন।
মঙ্গলবার দুপুরে ভার্চুয়ালি ওই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এতে চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই নেতৃত্ব দেন।
বৈঠকে অংশ নেয়া অন্যরা হলেন, বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন, আফগানিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ হানিফ আতমার, পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাকদুম শাহ মোহাম্মদ কুরেশি, শ্রীলঙ্কার পররাষ্ট্রমন্ত্রী দীনেশ গুনাবর্ধনে ও নেপালের পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রদ্বীপ গাওয়ালি।
চীনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ওয়েই ফেঙ্গহি একদিনের সফরে ঢাকায় পা রাখার ঘণ্টাখানেকের মধ্যেই এ ঘোষণা এলো।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, যখন কোনো দেশের টিকা প্রয়োজন হবে তখন তারা এই সুবিধা থেকে সাহায্য নিবেন। তাছাড়া তারা তিনটি সুবিধা দেবে। একটি হচ্ছে- পোস্ট-কোভিড পোভার্টির অভিযোগ। দ্বিতীয়ত, করোনার কারণে দেশে দেশে যে দারিদ্র্য বাড়ছে তারা সেটা জানতে চায়। আর দারিদ্র্য যেন না বাড়ে সে বিষয়ে কাজ করতে চায়। তৃতীয়ত, করোনার কারণে সরাসরি বিক্রয় করতে না পারার কারণে তারা ই-কমার্স চালু করতে চায়।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, করোনাকালে এক দেশ আরেক দেশকে সাহায্য ও সহযোগিতা করবে এটার ওপর এই ছয়টি দেশ জোর দিয়েছে।
‘বাংলাদেশের মঙ্গলের জন্য যা যা করা দরকার সব করা হবে,’ বলেন তিনি।