তৃতীয় ধাপের উপজেলা নির্বাচনে সাতক্ষীরা সদর ও কলারোয়ায় ভোটগ্রহণ হয়েছে। সদর উপজেলায় ভাইস চেয়ারম্যান পদে ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়ায় ভোটার উপস্থিতি খুবই কম। সাতক্ষীরা আলিয়া মাদ্রাসা কেন্দ্রে ছয় ঘণ্টায় ভোট পড়েছে ১৯১টি।
কেন্দ্রের প্রিসাইডিং অফিসার মোস্তফা জামান বলেন, এই কেন্দ্রে মোট ভোটার তিন হাজার ৬৬৬ জন। দুপুর ২টা পর্যন্ত ১৯১ ভোটার তাদের ভোট দিয়েছেন। সেই হিসাবে ৪.৮০ শতাংশ ভোট পড়েছে।
এদিকে সাতক্ষীরা সদরের চৌবাড়িয়া কেন্দ্রেও দুপুর ২টায় দেখা গেছে একই চিত্র। এই সময়ে দুই হাজার ৬৪২ জনের মধ্যে ১৭৯টি ভোট পড়েছে।
এদিকে সাতক্ষীরা শহরের পিএন স্কুল কেন্দ্র গিয়ে দেখা গেছে, ভোটার না থাকায় একজন প্রার্থীর এজেন্ট বসার টেবিলে শুয়ে পড়েছেন।
বুধবার (২৯ মে) সকাল ৮টা থেকে শুরু হয় এই ভোটগ্রহণ। শেষ হয়েছে বিকাল ৪টায়। ভোট কেন্দ্রগুলোতে ভোটার উপস্থিতি তুলনামূলক কম দেখা গেছে।
সাতক্ষীরা জেলা নির্বাচন অফিসার ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা আতিকুল ইসলাম জানান, সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ১৪০টি কেন্দ্রে ও কলারোয়া উপজেলায় ৭৮টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ চলছে। সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে পাঁচ জন ও কলারোয়া উপজেলা চেয়ারম্যান পদে তিন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এ ছাড়া সদর উপজেলায় ভাইস চেয়ারম্যান পদে শামস ইশতিয়াক শোভন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে কহিনুর ইসলাম বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। কলারোয় উপজেলায় ভাইস চেয়ারম্যান পদে চার জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে দুই জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আরও জানান, আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় প্রতিটি কেন্দ্রে এক জন এসআইয়ের নেতৃত্বে দুই জন পুলিশ সদস্য ও দুই জন সশস্ত্রসহ ১৫ জন আনসার সদস্য নিয়োজিত রয়েছেন। এ ছাড়া সাতক্ষীরা সদরে ১৫ জন ও কলারোয়া উপজেলায় ১৩ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্ব পালন করছেন। সংরক্ষিত রয়েছেন দুই জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। পাশাপাশি দুই প্লাটুন বিজিবি সদস্য ও দুই প্লাটুন র্যাব সদস্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় দায়িত্ব পালন করছেন।
সাতক্ষীরা সদরের ১৪০টি কেন্দ্রে চার লাখ ছয় হাজার ১৬৩ জন ভোটার ও কলারোয় উপজেলায় ৭৮টি কেন্দ্রে দুই লাখ ১২ হাজার ৪২৭ ভোটার রয়েছেন।