‘জীবিত না পেলে ছেলের লাশটা হলেও দিন।’ বৃহস্পতিবার (৯ জুন) চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রশাসনের দ্বারে দ্বারে ধরনা দিয়ে এমন আকুতি জানাচ্ছেন হেমায়েত উল্লাহ নামে এক ব্যক্তি। তার ছেলে মাঈন উদ্দীন সীতাকুণ্ডের বিএম ডিপোতে বিস্ফোরণের পর নিখোঁজ হন।
বৃহস্পতিবার দুপুরে বাংলা ট্রিবিউনকে হেমায়েত উল্লাহ বলেন, ‘আমার ছেলে পেশায় একজন গাড়িচালক। ঢাকার আশুলিয়া থেকে গাড়িতে করে পণ্য নিয়ে এসেছিলেন বিএম ডিপোতে। সেখানে বিস্ফোরণের পর থেকে তার খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমার দুই ছেলে। এর মধ্যে মাঈন বড়। তার পরিচয় শনাক্ত করতে ইতোমধ্যে আমি এবং স্ত্রী লাকী বেগম ডিএনএ নমুনা দিয়েছি।’
হেমায়েত উল্লাহর মতো এখনও সীতাকুণ্ডের বিএম ডিপোতে বিস্ফোরণে নিখোঁজদের সন্ধানে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে (চমেক) ভিড় করছেন স্বজনরা।
চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসকের তথ্য অনুযায়ী এ পর্যন্ত ৪৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে ৪৫ জনের লাশ ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। মাসুদ রানা নামে একজন চিকিৎসাধীন অবস্থায় চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে মারা গেছেন।
উদ্ধার হওয়া ৪৬ জনের মধ্যে ২৭ জনের লাশ শনাক্ত করা সম্ভব হয়েছে। তাদের লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এখনও শনাক্ত হয়নি ১৯ জনের লাশ।
এ ঘটনায় ২৩০ জন আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে ১০ জন পুলিশ এবং ১৫ জন ফায়ার সার্ভিসের সদস্য রয়েছেন বলে জেলা প্রশাসন সূত্র জানিয়েছে।
এদিকে, আজ বৃহস্পতিবারও চতুর্থ দিনের মতো ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করছে সিআইডির টিম। নমুনা সংগ্রহকারী টিমের সদস্য এএসআই অশোক কুমার সাহা জানান, এখন পর্যন্ত ৪৬ জন ব্যক্তি নমুনা দিয়েছেন। তারা ২৩ জনের খোঁজে এ নমুনা দিয়েছেন। ডিএনএ রিপোর্ট দিতে প্রায় একমাস সময় লাগতে পারে। ততদিন অপেক্ষা করতে হবে স্বজনদের।