জাজিরা থেকে জামতলা ছাড়িয়ে প্রায় চার কিলোমিটার সড়কে যানজট সৃষ্টি হয়েছে। শুক্রবার (১৫ জুলাই) রাত ৮টা থেকে এ যানজট চরম আকার ধারণ করে। এতে ঢাকা ও শরীয়তপুর উভয়মুখী সড়কে ছোটবড় দুই শতাধিক যানবহন আটকে আছে। যানজট নিরসনের জন্য কাজ করছে জাজিরা থানা পুলিশ।
সরেজমিন দেখা যায়, জাজিরা টিঅ্যান্ডটি মোড় থেকে নড়িয়া রাজনগর ইউনিয়নের জামতলা ছাড়িয়ে রাত আট থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত প্রায় চার কিলোমিটার সড়কে যানজট সৃষ্টি হয়েছে। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন যাত্রী ও চালকরা। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে। এছাড়াও কাজির হাটের পরেও কিছু অংশে যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। চালক ও স্থানীয়রা বলছেন সরু রাস্তার কারণেই এ যানজটের ভোগান্তি।
সাভার ধামরাই থেকে আনন্দ ভ্রমণে আশা কয়েকজন যাত্রী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, পদ্মা সেতু চালু হলেও এ এলাকার সড়কের উন্নয়ন হয়নি। আমরা চার ঘণ্টার বেশি আটকে আছি। আমাদের আনন্দ ভ্রমণ মাটি হয়ে গেছে। কখন যে বাসায় ফিরবো, তা নিয়েই এখন চিন্তা হচ্ছে।
নড়িয়া ভোজেশ্বর থেকে আসা ঢাকাগামী গ্লোরি পরিবহনের যাত্রী আব্দুস সামাদ বলেন, আমি মেয়েকে নিয়ে ঢাকায় যাবো। সন্ধ্যায় গাড়িতে উঠেছি, এখন আটকে আছি। কখন যে ঢাকায় যাবো আল্লাহ ভালো জানেন। তারপর আবার শুনতেছি পদ্মা সেতুর পারে না কি গাড়ির চাপ। এখান বাড়িও ফিরতে পারছি না।
শরীয়তপুর পরিবহনের এক যাত্রী রাসেল ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, আমাদের জেলায় পদ্মা সেতু। আর আমরাই সবচেয়ে বেশি অবহেলিত। চার ঘণ্টা ধরে বসে থেকে অতিষ্ঠ হয়ে গেছি।
শরীয়তপুর সুপার সার্ভিসের এক চালক বলেন, শরীয়তপুরের এই রাস্তাটি খুব সরু। আমরা ঝুঁকি নিয়ে গাড়ি চালাই। সামান্য অটোরিকশাকে সাইট দিতেও আমাদের কষ্ট হয়।
জাজিরা থানার এসআই ইউনুস বলেন, আমরা চেষ্টা করছি গাড়িগুলো সুন্দরভাবে সাইট করে ছাড়িয়ে দিতে। যাতে রাস্তায় কোনও যানজট না থাকে।