বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরে ভারতীয় শিল্পী কবীর সুমনের গান আয়োজনের অনুমতি দেওয়া হয়নি বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার মো. শফিকুল ইসলাম।
শফিকুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ‘জাদুঘরের মতো কি–পয়েন্ট ইনস্টলেশনে (অতি গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা) আমরা এই ধরনের প্রোগ্রামের অনুমতি দিতে পারি না। তবে আয়োজকেরা যদি অন্য কোথাও অনুষ্ঠান আয়োজনের অনুমতি চান, তবে আমরা তা বিবেচনা করব।’ এ বিষয়ে এখনো আয়োজকদের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
জাদুঘরের প্রধান মিলনায়তনে ১৫ অক্টোবর আধুনিক বাংলা গান, ১৮ অক্টোবর বাংলা খেয়াল ও ২১ অক্টোবর আধুনিক বাংলা গান পরিবেশনের কথা ছিল।
সে অনুযায়ী টিকিটও বিক্রি করা হয়েছে। অনুষ্ঠানটি উপলক্ষে বুধবার বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনে আয়োজকেরা জানান, আয়োজন ঘিরে যাবতীয় প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। প্রতি শোতে পাঁচ শতাধিক দর্শক ভেন্যু থেকে অনুষ্ঠানটি উপভোগ করতে করবেন। এ ছাড়া বাংলাদেশের বাইরে পশ্চিমবঙ্গ ও বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে ফেসবুক লাইভে অনুষ্ঠানটি উপভোগ করা যাবে। গত শুক্রবার টিকিট ছাড়া হয়েছে, টিকিট নিয়ে দর্শকদের মধ্যে তুমুল আগ্রহ দেখা গেছে।
মাত্র ৭২ ঘণ্টার ব্যবধানে আধুনিক বাংলা গানের দুই দিনের শোর সব টিকিট বিক্রি হয়েছে এবং বাংলা খেয়ালের টিকিটও বিক্রি শেষের পথে বলে জানান আয়োজকেরা। একটি ভিডিও বার্তায় অনুষ্ঠান নিয়ে নিজের বক্তব্য তুলে ধরেছেন কবীর সুমন। তিনি বলেন, ‘এ আয়োজন নিয়ে বাংলাদেশের নবীনদের মধ্যেও খুব উৎসাহ রয়েছে বলে জানালেন আয়োজকেরা। এটা আমার খুব ভালো লাগছে।’
এর আগে নব্বইয়ের দশকের শেষ ভাগে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের আমন্ত্রণে বাংলাদেশে এসে গান করেছিলেন কবীর সুমন, কোনো পারিশ্রমিক নেননি তিনি। টিকিট বিক্রির পুরো অর্থ মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর নির্মাণ তহবিলে দিয়েছিলেন।