নিজের ছেলে শহীদ আবরার ফাহাদের নামে নামকরণ করা স্টেডিয়ামের উদ্বোধন এসেছেন তার মা রোকেয়া খাতুন। এই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন অন্তর্বর্তী সরকারের যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় এবং স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।
বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) দুপুরে কুষ্টিয়ায় ‘শহীদ আবরার ফাহাদ স্টেডিয়াম’ উদ্বোধন করা হয়।
উদ্বোধন অনুষ্ঠান শেষে সভামঞ্চ থেকে নেমে হেঁটে আসছিলেন রোকেয়া খাতুন। হঠাৎ স্টেডিয়াম মাঠে থমকে দাঁড়ালেন। আবরারের ছবি সংবলিত ফেস্টুনের সামনে দাঁড়িয়ে কান্নাজড়িত কণ্ঠে ছেলেকে উদ্দেশ করে তিনি বললেন, ‘জান্নাতে তোমার সঙ্গে দেখা হবে, সেখানেই তুমি সবকিছু আমাকে বোলো আব্বু।’ এরপর সেখান থেকে চলে যান তিনি।
এদিকে, ছেলে আবরার ফাহাদকে হত্যায় ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত একজন আসামির জেল থেকে পালিয়ে যাওয়ার বিষয়ে রোকেয়া খাতুন বলেন, ‘তখন দেশের পরিস্থিতি অন্যরকম ছিল। শুধু আবরার ফাহাদের খুনি না। ৬ আগস্ট ওই কারাগারের ১৫২ জন পালায়। তাদের মধ্যে ৫৩ জন ছিল মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি। এটাকে অন্যভাবে দেখার সুযোগ নেই। কারণ ওই মুহূর্তে দেশের পরিস্থিতি অস্বাভাবিক অবস্থায় বিরাজ করছিল সবাই জানেন। আমরা বর্তমান সরকারের কাছে আবেদন করছি, যেন এ বিষয়ে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হয় এবং গ্রেফতার করা হয়।’
বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে অসম চুক্তি ও পানি আগ্রাসন নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট দেওয়ার জেরে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শেরেবাংলা হলের আবাসিক শিক্ষার্থী ও তড়িৎ কৌশল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র আবরার ফাহাদকে ২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর রাতে ছাত্রলীগের (নিষিদ্ধ) নেতাকর্মীরা পিটিয়ে হত্যা করে। হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার দায়ে ২০২১ সালের ৮ ডিসেম্বর বুয়েটের ২০ শিক্ষার্থীকে মৃত্যুদণ্ড এবং পাঁচ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন আদালত।
আরও খবর: জুলাই অভ্যুত্থানে তরুণরা জীবন দেওয়ার প্রেরণা পেয়েছে আবরারের কাছ থেকে: আসিফ মাহমুদ