গাজীপুরের টঙ্গীতে চাকরির কথা বলে ডেকে নিয়ে এক গৃহবধূ (১৯) এবং জোরপূর্বক তুলে নিয়ে এক পোশাক শ্রমিককে (২৬) ধর্ষণের অভিযোগে পাওয়া গেছে। পৃথক ধর্ষণের ঘটনায় ভুক্তভাগী দুই নারী টঙ্গী পূর্ব থানায় পৃথক দুটি মামলা দায়ের করেছেন। পোশাক শ্রমিককে ধর্ষণের অভিযোগে রাহাত আলীকে (২২) গ্রেফতার করেছে টঙ্গী পূর্ব থানা পুলিশ।
গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ (জিএমপি’র) অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (দক্ষিণ) হাসিবুল আলম এসব ঘটনায় মামলা ও গ্রেফতারের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
গ্রেফতার রাহাত আলী পঞ্চগড় সদরের ঠাটপাড়া গ্রামের হারুন-অর রশিদের ছেলে। বুধবার (৩০ মার্চ) দিবাগত রাতে ভুক্তভোগী নারী বাদী হয়ে মামলা করলে টঙ্গী পূর্ব থানা পুলিশ ওই রাতেই অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করে।
অন্যদিকে গৃহবধূকে ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্তরা হলেন মামুন (২৩), হাসান (২৩), হক মৃধা (৩০) ও কবির (৩১)। আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানান পুলিশের ওই কর্মকর্তা।
পুলিশ কর্মকর্তা হাসিবুল আলম মামলার বিবরণ দিয়ে জানান, অভিযুক্ত মামুন ধর্ষণের শিকার গৃহবধূকে পোশাক কারখানায় চাকরি দেওয়ার কথা বলে মুঠোফোনে যোগাযোগ করে। পরে হত ৩১ জানুয়ারি রাজশাহী থেকে টঙ্গীতে নিয়ে আসা হয় ওই গৃহবধূকে। ওইদিন রাতে তাকে গামছা দিয়ে বেঁধে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে পালিয়ে যায় মামুন। পরে তার সহযোগী হাসান, হক মৃধা ও কবির সংঘবদ্ধ হয়ে একই কায়দায় ভুক্তভোগীকে ধর্ষণ করে। পরে কৌশলে গৃহবধূ তাদের থেকে পালিয়ে রাজশাহী চলে যায়। চিকিৎসা শেষে বৃহস্পতিবার (৩১ মার্চ) টঙ্গী পূর্ব থানায় এসে অভিযুক্ত চার জনকে আসামি করে টঙ্গী পূর্ব থানায় মামলা দায়ের করেন।
অপরদিকে, টঙ্গীর এরশাদনগর এলাকায় জোরপূর্বক তুলে নিয়ে পোশাক কারখানার এক শ্রমিককে ধর্ষণ করার ঘটনা ঘটেছে। গত ৬ মার্চ রাত ৯ টায় কারখানা ছুটির পর বাসায় ফিরছিলেন ওই পোশাক শ্রমিক নারী। এরশাদনগরের (বড় বাজার) পৌঁছালে অভিযুক্ত রাহাত আলী তাকে জোরপূর্বক একটি প্রাইভেটকারে (ঢাকা মেট্রো-গ-২৭-২০৮৪) তুলে টঙ্গীর বনমালা রেলগেট এলাকার নির্জন স্থানে নিয়ে যায়। সেখানে প্রাইভেটকারের ভেতর তাকে ধর্ষণ করে রাহাত। পরে বুধবার (৩০ মার্চ) রাতে ভুক্তভোগী নারী বাদী হয়ে মামলা দায়ের করলে পুলিশ ওই রাতেই অভিযান চালিয়ে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে। পরে বৃহস্পতিবার (৩১ মার্চ) দুপুরে আদালতের মাধ্যমে আসামিকে জেল হাজতে পাঠায়।
অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (দক্ষিণ) হাসিবুল আলম আরও বলেন, পোশাক শ্রমিককে ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত আসামি রাহাত আলীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সংঘবদ্ধ ধর্ষণে অন্যান্য আসামিদেরকে গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানান তিনি।