স্বজনদের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে ঝুঁকি নিয়ে ট্রাক ও পিকআপ ভ্যানে বাড়ির দিকে ছুটছে মানুষ। যাত্রীবাহী বাসের ছাদেও গন্তব্যে রওনা দিয়েছেন অনেকে।
বৃহস্পতিবার (৭ জুলাই) বিকালে ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে দেখা যায়, সড়কে যানবাহনের চাপ রয়েছে। কোথাও জট দেখা যায়নি। তবে জোকারচর এলাকা থেকে বঙ্গবন্ধু সেতু পর্যন্ত যানবাহনের কিছুটা ধীরগতি রয়েছে। মানুষ যাত্রীবাহী বাসের ছাদে গন্তব্যের দিকে যাচ্ছেন। এছাড়া গাদাগাদি করে ট্রাক ও পিকআপেও ছুটছে অনেকে।
যাত্রীরা বলছেন, বাস না পেয়ে ট্রাক-পিকআপে করে যেতে হচ্ছে। জীবনের ঝুঁকি থাকলেও একটা আনন্দ আছে। পরিবারের অন্য সদস্যরা বাড়িতে অপেক্ষা করছে। এজন্য ঝুঁকি নিয়েই বিকল্প মাধ্যমে গন্তব্যে ছুটতে হচ্ছে।
এর আগে দুপুর পর্যন্ত মহাসড়কের রাবনা বাইপাস থেকে বঙ্গবন্ধু সেতু পর্যন্ত প্রায় ২৫ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে যানজটের সৃষ্টি হয়। ওই সময়ে ঘরমুখো মানুষকে চরম দুর্ভোগে পড়েন।
এদিকে, ঈদযাত্রায় যানজট নিরসনে এলেঙ্গা থেকে বঙ্গবন্ধু সেতু পর্যন্ত দুই লেনের সড়ক একমুখী (ওয়ানওয়ে) করেছে পুলিশ। ঢাকা থেকে উত্তরবঙ্গগামী যানবাহন এলেঙ্গা থেকে সেতুর দিকে যাচ্ছে। অপরদিকে উত্তরবঙ্গ থেকে ঢাকামুখী যানবাহন সেতু পার হয়ে ভূঞাপুর সড়ক দিয়ে এলেঙ্গা হয়ে ঢাকায় যাচ্ছে। তবে উত্তরবঙ্গ থেকে গরুবাহী ট্রাক একমুখী সড়কের আওতায় বাইরে রয়েছে।
এলেঙ্গা হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ আতাউর রহমান জানান, ভোরে মহাসড়কের বঙ্গবন্ধু সেতুপূর্ব পাড় থেকে এলেঙ্গা পর্যন্ত ৩-৪টা গাড়ি বিকল হওয়ায় যানজটের সৃষ্টি হয়। এখন গাড়ি স্বাভাবিক গতিতে চলাচল করছে। কোথাও জট নেই। তবে গাড়ির চাপ রয়েছে।