করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় খুলনার ১০০ শয্যাবিশিষ্ট করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালে রোগীর চাপও বেড়েছে। রোগীর সংখ্যা এখন ধারণক্ষমতার বাইরে। বর্তমানে ১০০ শয্যার হাসপাতালে ১১৫ জন রোগী চিকিৎসাধীন আছেন। আর আইসিইউতে রয়েছেন সাতজন। ফলে চিকিৎসা দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে চিকিৎসকদের।
এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. সুহাসরঞ্জন হালদার। এদিকে, খুলনা বিভাগে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ৩৫ হাজার ছাড়িয়েছে। মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬৫৬-তে। হাসপাতালে ভর্তি রোগীদের তথ্য পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, দশ দিনে হাসপাতালে রোগী ভর্তির সংখ্যা ঊর্ধ্বমুখী ছিল। এর মধ্যে ২৫ মে সকালে হাসপাতালে ৭৫ জন, ২৬ মে ৭৮ জন, ২৭ মে ৮০ জন, ২৮ মে ৮২ জন, ২৯ মে ৯১ জন, ৩০ মে ৭৭ জন, ৩১ মে ১০১ জন, ১ জুন ৯৯ এবং ২ জুন ১০৯ জন ভর্তি ছিলেন। সর্বশেষ বৃহস্পতিবার (০৩ জুন) থেকে ১১৫ জন রোগী ভর্তি রয়েছেন। খুমেক হাসপাতালের আরএমও ডা. সুহাসরঞ্জন হালদার বলেন, বৃহস্পতিবার (০৩ জুন) থেকে খুলনা করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালে সর্বাধিক রোগী ভর্তি রয়েছে। গত কয়েক দিন ধরে হাসপাতালে রোগীর চাপ বেড়েছে। ফলে চিকিৎসা দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে চিকিৎসকদের।
তিনি জানান, বর্তমানে ১১৫ জন রোগীর মধ্যে করোনা আক্রান্ত হয়ে রেড জোনে ৮৮ জন ও উপসর্গ নিয়ে ইয়োলো জোনে ২৩ এবং ভারত থেকে আসা চারজন ভর্তি রয়েছেন। এর মধ্যে সাতজন আইসিইউতে এবং চারজন এইচডিইউতে রয়েছেন। আর গত ২৪ ঘণ্টায় ভর্তি হয়েছেন ৪৬ জন। খুলনার সিভিল সার্জন ডা. নিয়াজ মোহাম্মদ বলেন, প্রতিনিয়ত মানুষকে সচেতন করা হচ্ছে। ঈদের আগে আশঙ্কা করা হচ্ছিল সংক্রমণ বৃদ্ধি পাবে। তখন থেকেই স্বাস্থ্যবিধি মানতে এবং মাস্ক পরতে মানুষকে সচেতন করা হয়। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে পারলে করোনা পরিস্থিতির উন্নতি হবে।
খুলনা বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. রাশেদা সুলতানা বলেন, সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার কোনো বিকল্প নেই। ঘরের বাইরে বের হলে অবশ্যই মাস্ক পরতে হবে। মাস্ক ছাড়া কোনোভাবেই চলাচল করা যাবে না। বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালকের দফতর সূত্রে জানা যায়, গত বছরের ১৯ মার্চ বিভাগের মধ্যে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয় চুয়াডাঙ্গায়। করোনাভাইরাস শনাক্তের এক বছর দুই মাস ১৬ দিন পর রোগীর সংখ্যা ৩৫ হাজার ছাড়িয়েছে।