নীলফামারীর ডোমারে জেলা পরিষদ নির্বাচনে টাকা নিয়ে ভোট না দেওয়ায় টাকা ফিরিয়ে নেওয়াকে কেন্দ্র করে ইউপি সদস্যকে মারধরের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় জেলা পরিষদের সাবেক সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে ডোমার থানার পুলিশ।
আজ মঙ্গলবার জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য আতাউর রহমান সাজুকে গ্রেপ্তার করে দুপুরে জেলা আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। এ ঘটনায় ইউপি সদস্য মো. আব্দুল খালেক ডোমার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি রয়েছেন।
জানা গেছে, গতকাল সোমবার (৫ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১১টায় উপজেলার জোড়াবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদ কক্ষে ৩ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. আব্দুল খালেকসহ অন্য ইউপি সদস্যরা অবস্থান করছিলেন। এ সময় সাবেক জেলা পরিষদের সদস্য মো. আতাউর রহমান সাজু ও তার লোকজন ইউপি সদস্য মো. আব্দুল খালেককে এলোপাতাড়ি মারধর করেন। পরে ইউপি সদস্য মো. আব্দুল খালেককে এলাকাবাসী উদ্ধার করে ডোমার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।
এ ঘটনায় ডোমার থানায় একটি মামলা দায়ের হয়েছে। জোড়াবাড়ী ইউনিয়নের মাঝাপাড়ার আজিজুল ইসলামের ছেলে আতাউর রহমান সাজু (৪২)। ইউপি সদস্য মো. আব্দুল খালেক ৩ নম্বর ওয়ার্ডের আইজার মিয়ার হাটের মো. মফিজুল ইসলামের ছেলে।
গত ১৭ অক্টোবর জেলা পরিষদের নির্বাচনে সদস্য পদে আতাউর রহমান সাজু ৩৪ ভোট পেয়ে মনজুর আহমেদ ডনের কাছে পরাজিত হন।
এ ব্যাপারে বাদী ও জোড়াবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. আব্দুল খালেক বলেন, ‘জেলা পরিষদের নির্বাচনে হেরে যাওয়ার পর ওর (আতাউর রহমান সাজু) মাথা উত্তেজিত। আমার ইউনিয়নে ১৩টি ভোট। যে ভাই জিতেছে, আমরা তার সাথে দেখা করব না? দেখা করায় ও মনে করেছে, আমরা ভোট দিই নাই। সম্মান করে যে টাকা দিয়েছিল, সেই টাকা ফেরত চাচ্ছে। ’
আতাউর রহমান সাজু বলেন, ‘আগুন খাওয়া পার্টি আমাকে মিথ্যা মামলার জড়িয়েছে। ’
এ ব্যাপারে ডোমার থানার অফিসার ইনচার্জ মো. মাহমুদ উন নবী জানান, ইউপি সদস্য আব্দুল খালেকের অভিযোগের ভিত্তিতে ডোমার থানায় চারজনকে আসামি করে একটি নিয়মিত মামলা দায়ের হয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে ১ নম্বর আসামি আতাউর রহমান সাজুকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার দুপুরে তাকে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।