সোমবার (২৫ সেপ্টেম্বর) সরকার পতনের এক দফা দাবিতে ঢাকার প্রবেশমুখে সমাবেশ করার কথা ছিল জেলা বিএনপির। সমাবেশের জন্য নির্ধারিত স্থানে তৈরি করা মঞ্চ রাতের অন্ধকারে পুলিশি প্রহরায় ভেঙে ফেলার অভিযোগ তোলে দলটি। এ কারণে আজকের সমাবেশ স্থগিত করেছে জেলা বিএনপি।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঢাকা জেলা বিএনপির সভাপতি আবু আশফাক। তিনি বলেন, ‘সমাবেশের জন্য জেলা পুলিশ সুপারের কাছে লিখিত অনুমতি চাওয়া হয়। চার দিন আগে পুলিশের পক্ষ থেকে অনুমতি দেওয়া হয়। তবে হঠাৎ করেই গতকাল রাত ২টার দিকে আমাদের জানানো হয় একই স্থানে আওয়ামী লীগও সমাবেশ ডেকেছে। দুই পক্ষের সমাবেশে অপ্রীতিকর পরিস্থিতি তৈরি হওয়ার আশঙ্কায় আমাদের অনুমোদন বাতিল করে দেওয়া হয়।’
তবে পুলিশি প্রহরায় তাদের মঞ্চ কেন ভেঙে ফেলা হলো—এ ব্যাপারে আক্ষেপ প্রকাশ করেন এ বিএনপি নেতা। তিনি আরও বলেন, ‘আমরা মঞ্চ করেছি প্রয়োজন হলে সরিয়ে নেবো। এছাড়াও আজকের সমাবেশ স্থগিত করা হয়েছে। আজ (সোমবার) বিকাল তিনটায় বিএনপির মিটিংয়ে এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। পরবর্তীতে সমাবেশের স্থান ও সময় জানানো হবে।’
এদিকে বিএনপির সমাবেশস্থলে সকাল থেকেই মোতায়েন করে রাখা হয়েছে অতিরিক্ত পুলিশ। এছাড়াও মঞ্চের জায়গায় পার্কিং করে রাখা হয়েছে পুলিশের বহনকারী গাড়ি।
পুলিশের উপস্থিতিতে মঞ্চ ভাঙার অভিযোগ প্রসঙ্গে ঢাকা জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) আব্দুল্লাহেল কাফী বলেন, ‘পুলিশের বিরুদ্ধে বিএনপির মঞ্চ ভেঙে দেওয়ার অভিযোগটি হাস্যকর। তাদের সমাবেশের কোনও অনুমতি ছিল না। তাছাড়া একই স্থানে আওয়ামী লীগও সমাবেশ করার ঘোষণা দিয়েছিল। দুই পক্ষ মুখোমুখি হলে অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটতে পারে এই আশঙ্কা থেকে এখানে আমাদের পর্যাপ্ত সংখ্যক অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।’
পূর্বঘোষণা অনুযায়ী আমিনবাজারে বিএনপির আজকের সমাবেশে দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও বেগম সেলিমা রহমানের উপস্থিত থাকার কথা ছিল।