কারাভোগ শেষে ভারত থেকে বিশেষ ট্রাভেল পারমিটের মাধ্যমে ফিরে এসেছে এক তরুণীসহ তিনজন। রোববার বিকেল সাড়ে ৫ টার দিকে বেনাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশের কাছে ভারতীয় ইমিগ্রেশন পুলিশ তাদের হস্তান্তর করে। ফেরত আসা তিনজন দুই থেকে আড়াই বছর ভারতে কারাভোগ করেছেন।
ফেরত আসারা হলেন ফরিদপুরের সদরপুর থানার জরিপডাংগী গ্রামের জয়নাল হোসেনের ছেলে ইমরান হোসেন (২৬), ব্রাহ্মণবাড়ীয়ার বাঞ্ছারামপুর থানার গঙ্গানগর গ্রামের শহিদ মিয়ার ছেলে এলাহী মিয়া (৫৫) ও খুলনার দিঘলিয়া থানার আলী মোল্যার মেয়ে তাছলিমা আক্তার (২১)।
ফেরত আসা এলাহী মিয়া বলেন, অভাব অনটনের সংসারে দেশে কাজ না পেয়ে দালালদের মাধ্যমে ভারত যাই। ভারতের রাজস্থানে রাজমিস্ত্রির কাজ করাকালে পুলিশ আটক করে কারাগারে পাঠায়। দুই বছর কারাভোগ শেষে আরোয়া ডিটেক্টর নামে একটি শেল্টার হোমে ৬ মাস থাকার পর আজ দেশে ফিরছি। তাছলিমা জানান, তার বোন দীর্ঘ দিন ভারতে থাকে। তার মাধ্যমে তিনি চোরাইপথে ভারত যান। এরপর সেখানে পুলিশের কাছে ধরা পড়ে কারাভোগ করেছেন।
বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশন পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আহসান হাবিব বলেন, ভালো কাজের প্রলোভনে এরা বিভিন্ন সীমান্তপথে ভারত পাড়ি জমায়। সেখানে কাজ করার সময় আটক এবং কারা ভোগ করে। সেখান থেকে একটি শেল্টার হোমের মাধ্যমে দুই দেশের উচ্চপর্যায়ে যোগাযোগ এবং ভারত সরকারের দেওয়া বিশেষ ট্রাভেল পারমিটের মাধ্যমে তারা দেশে ফেরে। ইমিগ্রেশনের আনুষ্ঠানিকতা শেষে তাদের থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। বেনাপোল পোর্ট থানার এসআই সোহেল বলেন, ফেরত আসা তিনজনকে ১৪ দিনের কোয়ারেন্টিনে রাখা হবে। এরপর যদি কোনো এনজিও সংস্থা গ্রহণ করে তাহলে তাদের হাতে তুলে দেওয়া হবে। তা না হলে নিজ উদ্যোগে তারা বাড়ি ফিরে যাবে।