জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল উপজেলার মামুদপুর ইউনিয়নের তুলশীগঙ্গা নদীর তীরে ঐতিহ্যবাহী ঘুড়ির মেলা বসেছে। সন্ন্যাস পূজাকে ঘিরে ২০০ বছরের বেশি সময় ধরে প্রতি বছর নদী তীরবর্তী সন্ন্যাস মন্দিরের পাশে এই মেলা আয়োজন করা হয়।
প্রতি বছরের জ্যৈষ্ঠ মাসের শেষ শুক্রবার দিনব্যাপী মেলা বসে। মেলাকে ঘিরে এলাকার মহব্বতপুর, জিয়াপুর, আমিড়া, মাতাপুর, জামালগঞ্জ ও মামুদপুরসহ আশপাশের প্রায় ৪০টি গ্রামে উৎসব বিরাজ করে।
মেলার মূল আকর্ষণ রঙ-বেরঙের ঘুড়ি। মাঠজুড়ে এসব ঘুড়ি ওড়ানো হয়। ঘুড়ি আর লাটাই কিনতে দোকানে ভিড় করেন বিভিন্ন বয়সী মানুষ। এছাড়া মেলায় মিষ্টান্ন, প্রসাধনী, মাটির হাঁড়ি-পাতিল, হাতপাখা ও মাছ ধরার নানা সামগ্রীর দোকান বসেছে।
মেলায় ঘুড়ি বিক্রি করতে আসা নাজমুল ও জিল্লুর রহমান বলেন, ‘ছোটবেলা থেকেই আমরা এই মেলায় আসি। এখানে শখ করে ঘুড়ি কেনার জন্য মানুষ আসে। এসব ঘুড়ি বিক্রি করে আমাদের কিছু আয়ও হয়, অনেক ভালোও লাগে।’
পূজা কমিটির সভাপতি মন্টু চন্দ্র মন্ডল বলেন, ‘প্রতি বছরের মতো এবারেও মেলা বসেছে। এই মেলা হিন্দু-মুসলিম সবাই মিলে উদযাপন করি। দেশের বিভিন্ন এলাকার মানুষ প্রতিবছরই এখানে আসেন। শনিবার (১১ জুন) দুপুর পর্যন্ত মেলা চলবে।’
ক্ষেতলাল উপজেলার মামুদপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মশিউর রহমান বলেন, ‘হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সন্যাসতলী মেলার মূল আকর্ষণ ঘুড়ি। মেলাকে ঘিরে আশপাশের এলাকার বাড়িতে ব্যাপক উৎসব বিরাজ করে। অনেকে মেয়ে জামাই ও আত্মীয়-স্বজনদের দাওয়াত করে।’