বান্দরবানের লামার ৫নং সরই ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের পূর্ব বেতছড়া টঙ্গাঝিরি পাড়ায় আগুনের ঘটনায় গ্রেফতার চার আসামি প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ঘর পোড়ানোর বিষয়টি স্বীকার করেছে বলে দাবি করছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) লামা থানা থেকে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানানো হয়েছে। গ্রেফতার আসামিরা হলেন- স্টিফেন ত্রিপুরা (৫০), মসৈনিয়া ত্রিপুরা (৪৪), জোয়াকিম ত্রিপুরা (৫২) ও ইব্রাহীম (৬৫)। তারা সবাই বান্দরবানের লামার ৫নং সরই ইউনিয়নের বাসিন্দা।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গ্রেফতার আসামিরাসহ অন্যরা মামলার বাদী গুঙ্গামনি ত্রিপুরা ও ভুক্তভোগীদের কাছে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে আসছিলেন। সেই চাঁদা না পাওয়ায় মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) বাদীসহ অন্যরা বাড়িতে না থাকার সুযোগে আসামিরা রাত আনুমানিক সাড়ে ১২টা থেকে ১টার মধ্যে যেকোনও সময় ঘটনাস্থলে থাকা মাচাং ঘরে আগুন ধরিয়ে দেয়। এ সময় ১৬টি মাচাং ঘর পুড়ে ভস্মীভূত হয়ে যায়। এতে আনুমানিক চার লাখ ৮০ হাজার টাকার ক্ষতিসাধন হয়। পরে বাদীর অভিযোগের ভিত্তিতে লামা থানায় মামলা করা হয়।
এতে বলা হয়, মামলার পর জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) হোসাইন মোহাম্মদ রায়হান কাজেমীর নেতৃত্বে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের একটি টিম এবং লামা থানা পুলিশের তৎপরতায় এজাহারনামীয় সাত জনের মধ্যে চার জনকে বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) রাতে গ্রেফতার করে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও উল্লেখ করা হয়, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতার আসামিরা চাঞ্চল্যকর ঘর পোড়ানোর কথা স্বীকার করেছে। ঘটনার প্রকৃত রহস্য উদ্ঘাটন ও অন্য আসামিদের গ্রেফতারের জন্য ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ রিমান্ডের আবেদন করবে।
এদিকে বৃহস্পতিবার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে বান্দরবান জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শহিদুল্লাহ কাউছার বলেন, বিষয়টিকে আমরা সবোর্চ্চ গুরুত্ব দিচ্ছি। ঘটনাটি ঘটার পর সাত জনকে আসামি করে একটি মামলা হয়েছে। রাতভর আমরা এখানে অভিযান করেছি। এতে চার জনকে গ্রেফতার করেছি। এ ছাড়া ঘটনার পরপরই লামার ইউএনও ও ওসি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। ঘটনাটিকে পুলিশ প্রশাসন ও জেলা প্রশাসন সবোর্চ্চ গুরুত্ব দিয়ে দোষীদের শাস্তির আওতায় আনবো।