দালাল চক্রে দুই হাসপাতালের সাবেক-বর্তমান স্টাফরা
বাংলাদেশ

দালাল চক্রে দুই হাসপাতালের সাবেক-বর্তমান স্টাফরা

রোগী ও তাদের স্বজনদের সঙ্গে প্রতারণা ও অর্থ হাতিয়ে নেওয়াসহ নানা অভিযোগের ভিত্তিতে বরিশাল নগরীর দুটি হাসপাতালে অভিযান চালিয়ে ১০ নারীসহ ২৩ দালালকে আটক করেছে র‌্যাব-৮। কোতোয়ালি মডেল থানায় মামলার পর মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) বিকালে তাদের ওই মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে সোপর্দ করা হলে মুচলেকায় তারা জামিন পান।

বরিশাল জেনারেল হাসপাতাল ও শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল থেকে আটকরা হলেন- নগরীর রূপাতলী এলাকার বাসিন্দা আইয়ুব আলী, ঝুমুর বেগম, সদর উপজেলার চরকরনজী এলাকার সবুজ আলী, নগরীর ৮ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা চয়ন, বান্দ রোডের বিপুল, আব্দুর রহিম, কালুশাহ সড়কের হেলাল উদ্দিন, বেলতলার সোহাগ, জালাল, সাগরদীর আজাদ হাওলাদার, দফতরখান সড়কের মুন্নী আক্তার, চরকাউয়ার রিমা আক্তার, টিয়াখালী রোডের মীম আক্তার, হরিনাফুলিয়ার সুমী আক্তার, দক্ষিণ আলেকান্দার মেহেদী, রেজাউল ইসলাম, বাবুগঞ্জের মধ্য বকশির চর এলাকার আমির হোসেন, কাউনিয়ার মঞ্জুর হোসেন, পলাশপুরের তন্নী, বেতাগী উপজেলার ফুলতলা এলাকার ফাতেমা আক্তার, বরিশাল সদর উপজেলার খোন্তকালী গ্রামের শাহনাজ, একই এলাকার ফারজানা আক্তার এবং মনি আক্তার।

মঙ্গলবার দুপুরে মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের প্রধান গেটে সংবাদ সম্মেলন করে র‌্যাব-৮ এর অধিনায়ক লেফটেনেন্ট কর্নেল কাজী যুবায়ের আলম শোভন জানিয়েছেন, বরিশাল বিভাগের সবচেয়ে বড় হাসপাতাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল। এখানে চিকিৎসা নিতে এসে অনেক রোগীকে নানা হয়রানির শিকার হতে হয়। এমনকি জেনারেল হাসপাতালেও একই অবস্থা। এমন অভিযোগের ভিত্তিতে আজ সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত ওই দুই হাসপাতালে অভিযান চালিয়ে নারীসহ ২৩ দালালকে আটক করা হয়।

তিনি আরও জানান, আটকদের মধ্যে বেশিরভাগ শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল ও জেনারেল হাসপাতালের পুরান স্টাফ। তারা বিভিন্ন সময় অনিয়মের অভিযোগে ওই দুই হাসপাতাল থেকে চাকরিচ্যুত হন। তবে বর্তমানে যারা কর্মরত রয়েছেন সে রকম কয়েকজনকে পাওয়া গেছে- যারা এ দালাল চক্রকে সহায়তা করে আসছে। আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে দূরদূরান্ত থেকে আসা রোগীদের শতভাগ চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করা।

শের ই বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল পরিচালক ডা. এইচ এম সাইফুল ইসলাম বলেন, যারা এ দালাল চক্রের সঙ্গে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আমরাও চাই দালালমুক্ত চিকিৎসাসেবা। যেখানে সাধারণ মানুষকে হয়রানির শিকার হতে হবে না।

কোতোয়ালি মডেল থানার নিবন্ধন কর্মকর্তা এসআই এনামুল হক বলেন, মহানগর পুলিশ অধ্যাদেশের ৮১ ধারায় গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে সোপর্দ করা হয় তাদের। তবে ভবিষ্যতে এ ধরনের অপরাধ না করার মুচলেকায় জামিন দিয়েছেন বিচারক।

Source link

Related posts

সিরাজগঞ্জ মহাসড়কে বেড়েছে যানবাহনের চাপ

News Desk

স্বাভাবিক হলো সচিবালয়

News Desk

বিধিনিষেধের মধ্যেও জীবিকার প্রয়োজনে তারা রাস্তায়

News Desk

Leave a Comment