উত্তরের জেলা দিনাজপুরে একদিনের ব্যবধানে তাপমাত্রা কমেছে এক দশমিক দুই ডিগ্রি সেলসিয়াস। সেই সঙ্গে বেড়েছে বাতাসের আর্দ্রতা। ফলে আবারও তীব্র শীতে কাঁপছে জেলার মানুষ।
বৃষ্টিপাতের কারণে তাপমাত্রা কমে আর্দ্রতা বেড়ে গেছে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়া অফিসের কর্মকর্তারা। তাপমাত্রা ধীরে ধীরে আরও কমে যেতে পারে। তবে আপাতত আর বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই।
দিনাজপুর আঞ্চলিক আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র সূত্রে জানা গেছে, শনিবার দিনাজপুরে সকাল ৬টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১২ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসের আর্দ্রতা ৯৫ শতাংশ এবং বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ৪-৫ কিলোমিটার। এর আগে, শুক্রবার দিনাজপুরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৩ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস আর আর্দ্রতা ৯১ শতাংশ।
এদিকে, গতকাল যেখানে বাতাসের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ৭-৮ কিলোমিটার এবং দমকা হাওয়া ছিল ঘণ্টায় ১৬-১৮ কিলোমিটার। সেখানে শনিবার বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ৪-৫ কিলোমিটার এবং দমকা হাওয়া নেই।
গত ২৪ ঘণ্টায় জেলায় বৃষ্টিপাত হয়েছে ৫৯ মিলিমিটার। এ ছাড়া খুলনায় ৬৮, সৈয়দপুরে ৩৫, রংপুরে ৫৫, নওগাঁয় ৩৩, রাজশাহীতে ৩০, ডিমলায় ৫৫ এবং কুড়িগ্রামে ৫০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে।
শনিবার নীলফামারীর সৈয়দপুরে ১২ দশমিক ২, রংপুরে ১২ দশমিক ৮, কুড়িগ্রামের রাজারহাটে ১৩ দশমিক শূন্য, ডিমলায় ১২ দশমিক ৭, নওগাঁয় ১২ দশমিক ৫, রাজশাহীতে ১১ দশমিক ৬, চুয়াডাঙ্গায় ১৪ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। আজ দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা (সকাল ৬টা) রেকর্ড হয়েছে তেঁতুলিয়ায়, ১১ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
জেলায় তাপমাত্রা কমে যাওয়ার পাশাপাশি সকাল থেকে ওঠেনি সূর্য। আকাশে রয়েছে মেঘের আনাগোনা। রয়েছে কিছুটা কুয়াশার প্রভাব। তবে বৃষ্টিপাতের ফলে মানুষের মধ্যে যে অস্বস্তি ছিল তা কিছুটা প্রশমিত হয়েছে।
দিনাজপুর আঞ্চলিক আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের কর্মকর্তা তোফাজ্জল হোসেন জানান, বৃষ্টির আর আশঙ্কা নেই। আকাশে যে মেঘ আছে, সেগুলোও থাকবে না। তাপমাত্রা ধীরে ধীরে কমে যেতে পারে। তবে দুই-একদিন পর আবারও তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাবে।