রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে দীর্ঘ এক মাস পর করোনারি কেয়ার ইউনিট (সিসিইউ) থেকে কেবিনে নেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৩ জুন) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে তাকে কেবিনে স্থানান্তর করা হয়। বিএনপি চেয়ারপারসনের একান্ত সচিব এ বিএম আব্দুস সাত্তার ঢাকা পোস্টকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
আব্দুস সাত্তার বলেন, আজ ম্যাডামকে সিসিইউ থেকে কেবিনে স্থানান্তর করা হয়েছে। তাঁর শারীরিক অবস্থা আগের মতোই রয়েছে।
খালেদা জিয়ার চিকিৎসকরা বলছেন, গত এক সপ্তাহে খালেদা জিয়ার সার্বিক অবস্থা পর্যবেক্ষণ করেছেন ডাক্তাররা। শারীরিক অবস্থার উন্নতি হওয়ায় তাঁকে সিসিইউ থেকে কেবিনে নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক চিকিৎসক গণমাধ্যমকে বলেন, ম্যাডামকে সিসিইউ থেকে কেবিনে স্থানান্তর করা হলেও কবে বাড়ি ফিরবেন তা এখনই বলা যাচ্ছে না। কারণ তার শারীরিক অবস্থা বাসায় ফিরে যাওয়ার মতো উন্নতি হয়নি। তবে, তিনি এখন স্বাভাবিক কথা বলতে পারেন। অন্যের সাহায্য নিয়ে হাঁটতেও পারেন।
তিনি আরও বলেন, গত এক সপ্তাহ ধরে তাকে অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ দেওয়া বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। হার্টের অবস্থা বেশ ভালো, ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে, ফুসফুসে এখন আর পানি জমে না। তবে আথ্রাইটিসসহ আগের যেসব সমস্যা আছে সেগুলো নিয়ে এখন চিকিৎসা চলবে।
গত ৩ মে শ্বাসকষ্ট দেখা দিলে খালেদা জিয়াকে সিসিইউতে নেওয়া হয়। এর আগে গত ২৭ এপ্রিল তাঁকে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তখন তিনি করোনা পজিটিভ ছিলেন। তবে তাঁকে হাসপাতালের নন-করোনা ইউনিটের কেবিনে রাখা হয়েছিল। গত ১১ এপ্রিল খালেদা জিয়া করোনায় আক্রান্ত হন। এর প্রায় এক মাস পর এবং হাসপাতালে নেওয়ার প্রায় ২ সপ্তাহ পরে তিনি করোনামুক্ত হন।