দুই কিমি বেড়িবাঁধ ভেঙে অর্ধলক্ষ পরিবার পানিবন্দি
বাংলাদেশ

দুই কিমি বেড়িবাঁধ ভেঙে অর্ধলক্ষ পরিবার পানিবন্দি

উপকূলীয় জেলা বাগেরহাটে ঘূর্ণিঝড় রিমালের তাণ্ডবে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। রবিবার রাতভর তাণ্ডবের পর সোমবার (২৭ মে) বেলা ১১টা পর্যন্ত দমকা হাওয়া সঙ্গে বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকে। তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাতাসের তীব্রতা কিছুটা কমলেও হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টিপাত চলছিল।

এদিকে, রিমালের প্রভাবে বিধ্বস্ত হয়েছে জেলার ৪৫ হাজার ঘরবাড়ি। এর মধ্যে আংশিক ৩৫ হাজার ও পুরোপুরি বিধ্বস্ত হয়েছে ১০ হাজার বাড়িঘর। উপড়ে পড়েছে কয়েক হাজার গাছপালা। বিদ্যুতের খুঁটি উপড়ে পড়ায় বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে জেলা সদরসহ সবকটি উপজেলায়। জেলার নিম্নাঞ্চল ৩-৫ ফুট পানিতে প্লাবিত হয়েছে। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে জেলার প্রায় অর্ধলক্ষ পরিবার। ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে মৎস্যঘেরে।

জেলার মোংলা, রামপাল, শরণখোলা, মোরেলগঞ্জ ও বাগেরহাট সদর উপজেলায় সাড়ে ৩ হাজার চিংড়িঘের ও পুকুরের মাছ ভেসে গেছে। এতে ৭৩ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে জেলা মৎস্য অফিস সূত্রে জানা গেছে। এ ছাড়া ১ হাজার ৫৮১ হেক্টর ফসলি জমি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। জেলার মোরেলগঞ্জ ও শরণখোলায় প্রায় দুই কিলোমিটার বেড়িবাঁধ ভেঙে ৭টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে বলে জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা গেছে।

বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক মো. খালিদ হোসেন বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে জেলার শরণখোলা, মোরেলগঞ্জ ও মোংলা উপজেলায় সব থেকে বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এসব উপজেলার ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হওয়ার খবর পেয়েছি। আবহাওয়া পুরোপুরি স্বাভাবিক হলে ক্ষয়ক্ষতির সঠিক তথ্য জানা যাবে। তবে রবিবার রাতে জেলার ৩৫৯টি আশ্রয়কেন্দ্রে প্রায় লক্ষাধিক মানুষ ও কয়েক হাজার গবাদিপশু আশ্রয় নিয়েছিল। এখনও পর্যন্ত জেলায় প্রাণহানির কোনও খবর পাওয়া যায়নি।’

Source link

Related posts

সংস্কার হচ্ছে কালুরঘাট রেলসেতু, চলবে ফেরি

News Desk

সালথায় তাণ্ডব: ৭ মামলার একটিরও তদন্ত শেষ হয়নি

News Desk

আশ্রয়কেন্দ্র থেকে বাড়ি ফিরছে মানুষ

News Desk

Leave a Comment