দুই ফেরি নষ্ট, চাপ বেড়েছে দৌলতদিয়ায় 
বাংলাদেশ

দুই ফেরি নষ্ট, চাপ বেড়েছে দৌলতদিয়ায় 

রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া ও মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া নৌপথে বাড়তি গাড়ির চাপ সামাল দিতে ঈদের আগে পাঁচ দিন ও পরের পাঁচ দিন মোট ১০ দিন অপচনশীল পণ্যবাহী ট্রাক পারাপার বন্ধ রাখা হবে। এ সিদ্ধান্তে দৌলতদিয়া ঘাট এলাকায় পণ্যবাহী গাড়ির চাপ বেড়েছে। এছাড়া আজ মঙ্গলবার (২৬ এপ্রিল) ১৯টি ফেরির মধ্যে দুটি ফেরি বিকল হয়ে পড়ায় যানবাহন পারাপার ব্যাহত হচ্ছে। এতে পারাপারের অপেক্ষায় থাকা কয়েকশ’ যানবাহন নদী পারের অপেক্ষায় আটকা পড়েছে। প্রচণ্ড গরম, তীব্র তাপদাহে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে চালক, যাত্রী ও সহযোগীদের।

মঙ্গলবার (২৬ এপ্রিল) সকালে সরেজমিনে ঘাট এলাকায় দেখা গেছে, ঘাটের জিরো পয়েন্ট থেকে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের গোয়ালন্দ পদ্মার মোড় পর্যন্ত যানবাহনের দীর্ঘ লম্বা লাইন তৈরি হয়েছে। প্রায় পাঁচ কিলোমিটার লম্বা লাইনে পণ্যবাহী ট্রাক, কাভার্ড ভ্যানসহ বিভিন্ন ধরনের গাড়ি আছে। 

সড়কের কোথাও কোথাও দুই-তিন সারিতে গাড়ি দেখা গেছে। তবে বেশিরভাগই ছিল পণ্যবাহী ট্রাক। এদিকে ফেরিঘাট থেকে দৌলতদিয়া মডেল হাই স্কুল পর্যন্ত ২ কিলোমিটারের রয়েছে যাত্রীবাহী বাসের লাইন। যাত্রীবাহী বাসসহ অন্যান্য জরুরি পচনশীল গাড়িগুলোকে ৪ থেকে ৫ ঘণ্টা অপেক্ষা করে ফেরির নাগাল পেতে হচ্ছে। অপচনশীল পণ্যবাহী গাড়িগুলো ১২ থেকে ১৫ ঘণ্টার আগে ফেরিতে ওঠার সুযোগ পাচ্ছে না।

এদিকে বুধবার (২৭ এপ্রিল) থেকে দৌলতদিয়া- পাটুরিয়া নৌপথে চলাচল করবে ২১টি ফেরি। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন বিআইডব্লিউটিসির পরিচালক (বাণিজ্য) এসএম আশিকুজ্জামান। 

তিনি বলেন, বর্তমানে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে ১৮টি ফেরি রয়েছে। বুধবারের মধ্যেই এ নৌপথে আরও তিনটি ফেরি যুক্ত হবে।

ফেরিগুলোর মধ্যে কয়টি রো-রো ফেরি থাকবে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ঈদযাত্রায় দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌপথে এবার ১২টি রো-রো ফেরি চলাচল করবে। এছাড়া ছয়টি ইউটিলিটি, দুটি ড্রাম্প ফেরি ও একটি ইউটিলিটি ফেরি চলাচল করবে।

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) দৌলতদিয়া কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া রুটে ঈদ উপলক্ষে ২১টি ফেরি চলাচল করবে। বর্তমানে ছোট-বড় মিলে ১৯টি ফেরি থাকলেও আজ ১৭টি ফেরি চলাচল করছে। যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে দুটি ফেরি পাটুরিয়ার ভাসমান কারখানা মধুমতিতে মেরামতে রয়েছে।

কুষ্টিয়া থেকে আসা পাউডার বোঝাই ট্রাকের চালক মো. কালাম ফকির বলেন, গতকাল দিবাগত রাত ৩টার দিকে গোয়ালন্দ ফায়ার সার্ভিস পর্যন্ত এসে আটকা পড়ি। ৮ ঘণ্টা পার হলেও এখনও ফেরির দেখা পাইনি। কখন নদী পার হতে পারবো বলতে পারছি না।

বিআইডব্লিউটিসি দৌলতদিয়া কার্যালয়ের ব্যবস্থাপক প্রফুল্ল চৌহান বলেন, ঈদের আগে ও পরে ১০ দিন অপচনশীল পণ্যবাহী ট্রাক পারাপার বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। সেজন্য পণ্যবাহী ট্রাকের চাপ রয়েছে। এ ছাড়া দুটি ফেরি বিকল হয়ে পড়ায় যানবাহন পারাপার ব্যাহত হচ্ছে। বর্তমানে এ নৌপথে ছোট বড় ১৭ টি ফেরি চলাচল করছে।

Source link

Related posts

শাটডাউনে রণক্ষেত্র গোটা দেশ

News Desk

‘১৬ টাকা কেজি দরে আলু বিক্রি করে এখন কিনছি ৪০ টাকায়’

News Desk

মৌলভীবাজারে খাবার ও বিশুদ্ধ পানির সংকট

News Desk

Leave a Comment