ঈদ শেষে কর্মস্থলে ফেরা মানুষের চাপ বেড়েই চলেছে রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া ফেরিঘাট এলাকায়। ঘাটে দীর্ঘ সময় আটকে থাকায় তীব্র গরমে ব্যাপক ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে যাত্রী ও চালকদের।
সরজমিনে সোমবার (৯ মে) দুপুরে দৌলতদিয়া ঘাট ও সড়ক ঘুরে দেখা যায়, ঘাটের জিরো পয়েন্ট থেকে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের গোয়ালন্দ ওয়াজেদ চৌধুরী টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ পর্যন্ত চার কিলোমিটার এলাকাজুড়ে পণ্যবাহী ট্রাক ও যাত্রীবাহী বাসের সিরিয়াল রয়েছে। এর মধ্যে পণ্যবাহী ট্রাকের সংখ্যাই বেশি।
সড়ক ঘুরে আরও দেখা যায়, অনেকে বাস থেকে নেমে ব্যাগ, পরিবারসহ হেঁটে ঘাটে যাচ্ছেন। দৌলতদিয়া থেকে সাড়ে ১৩ কিলোমিটার দূরে রাজবাড়ী-কুষ্টিয়া আঞ্চলিক মহাসড়কের তিন কিলোমিটার এলাকায় পণ্যবাহী ট্রাকের সারি অপেক্ষায় রয়েছে।
ঘাট সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, গত কাল রবিবার ভোর ৬টা থেকে সোমবার ভোর ৬টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় দৌলতদিয়া ঘাট থেকে ফেরিগুলো ২৫৯টি ট্রিপে বিভিন্ন যানবাহন নিয়ে পাটুরিয়া গেছে। যার মধ্যে যাত্রীবাস রয়েছে ৭৭২টি, ট্রাক ৮৯১টি, ব্যক্তিগত যানবাহন মাইক্রোবাস ৩ হাজার ৩৮৮টি ও মোটরসাইকেল এক হাজার ৯৬টি। সব মিলিয়ে ৬ হাজার ১৪৭টি যানবাহন দৌলতদিয়া ফেরিঘাট থেকে পার হয়ে পাটুরিয়া ঘাটে পৌঁছায়। এ ছাড়া হাজার হাজার মানুষ ফেরিতে নদী পার হয়েছেন।
সাতক্ষীরা থেকে আসা এ কে ট্রাভেলস বাসের চালক ফেরদৌস বলেন, ‘গতরাত ৩টার দিকে গোয়ালন্দ বাসস্ট্যান্ডে এসে সিরিয়ালে আটকা পড়ি। এখনও ফেরির নাগাল পাইনি। বাসের অধিকাংশ যাত্রী নেমে লঞ্চ ও ফেরিতে নদী পার হয়েছেন। এখন বাসে অর্ধেকেরও কম যাত্রী আছে। কী আর করবো, তাও বাস নিয়ে ঢাকা যেতে হবে।’
বিআইডব্লিউটিসি দৌলতদিয়া ঘাট শাখার ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) শিহাব উদ্দিন বলেন, ‘গত তিন ধরে ঘাট এলাকায় রাজধানীমুখী যাত্রীদের যাপ বেড়েই চলেছে। গতকালের চেয়ে সোমবার যাত্রী ও যানবাহনের চাপ কম রয়েছে। আমরা ঘাটে সার্বক্ষণিক নজরদারি রাখছি। বর্তমানে এই রুটে ছোট-বড় ২০টি ফেরি চলাচল করছে।’