‘দুর্যোগে ক্ষতবিক্ষত উপকূল’
বাংলাদেশ

‘দুর্যোগে ক্ষতবিক্ষত উপকূল’

বারবার দুর্যোগের কবলে পড়ে বাংলাদেশের দক্ষিণ উপকূলের ক্ষতবিক্ষত মানুষ সন্তানকে কবর দেওয়ার জায়গাও পায়নি। দুর্যোগের দাপটে তারা জানমাল হারিয়েছেন। মৎস্যজীবী ও কৃষিজীবী সবাই পেশা হারিয়ে বাস্তুহারা। এসব মানুষের জন্য কিছু করা দরকার।

সুন্দরবন লাগোয়া সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার দুর্যোগকবলিত এলাকা সফররত জার্মান ক্লাইমেট সেক্রেটারি জেনিফার মর্গেন এ কথা বলেছেন। 

সাতক্ষীরার এলজিইডি সম্মেলন কক্ষে শুক্রবার (৮ এপ্রিল) দুর্যোগকবলিত মানুষদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন তিনি। তাদের দুঃখ-দুর্দশার কথা শুনে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন। বাংলাদেশে নিযুক্ত জার্মান রাষ্ট্রদূত আখিম থ্রিয়েস্টারসহ ৫ সদস্যের এই দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন জেনিফার মর্গেন।

বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধির ফলে জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বাংলাদেশ ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, সাতক্ষীরা জেলা সবচেয়ে বড় হুমকির মধ্যে রয়েছে। এখানে ১৯৮৮ সালের ঘূর্ণিঝড়, ২০০৭ সালের ভয়াল সিডর এবং ২০০৯ সালের আইলার জলোচ্ছাস ও তার পরবর্তী বুলবুল, আম্ফান ইয়াসসহ ১৩টি বড় দুর্যোগের আঘাত সামলেছে দক্ষিণের প্রাচীরখ্যাত সুন্দরবন। এই সুন্দরবনও এখন নানাভাবে ভৌগলিক ও প্রাকৃতিক কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে ক্ষমতা হারিয়ে ফেলেছে। এর ফলে ঝড় জলোচ্ছ্বাস প্রকৃতিগতভাবে রোধ করা কঠিন হয়ে পড়েছে। 

জেনিফার মর্গেন বলেন, বিধ্বস্ত বাঁধ ও পানিতে বিলীন জনপদে টিকতে না পেরে মানুষ ঘরবাড়ি ছেড়ে অন্যত্র চলে গেছে। মৎস্যজীবী ও কৃষিজীবি মানুষ তাদের পেশা হারিয়ে বেকার হয়ে পড়েছে। ঝড় জলোচ্ছ্বাসে তাদের জানমাল রক্ষার জন্য যে পরিমাণ আশ্রয়কেন্দ্র দরকার তা এখানে নেই। আমি বাংলাদেশ সরকারকে এ বিষয়ে পরামর্শ দিতে চাই। সেই সঙ্গে এখানে সরকারের চলমান প্রকল্পগুলোকে আরও গতিশীল করতে জার্মান সরকারের পক্ষে সহযোগিতা করতে চাই। 

জার্মান ক্লাইমেট সেক্রেটারি জেনিফার মর্গেন পরে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতর, সাতক্ষীরার নির্বাহী প্রকৌশলী নারায়ণ চন্দ্র সরকারের সঙ্হে বিভিন্ন বিষয়ে মতবিনিময় করেন।

Source link

Related posts

যাদের ঝগড়া থামাতে গেলেন তারাই কুপিয়ে মারলেন

News Desk

খুললো নলকা সেতু, উত্তরের ঈদযাত্রা স্বস্তির

News Desk

চট্টগ্রাম বন্দরের পিসিটি পরিচালনার দায়িত্ব পেলো সৌদি প্রতিষ্ঠান

News Desk

Leave a Comment