উন্নয়ন ও শান্তি সমাবেশে যশোর-৩ আসনের সংসদ সদস্য কাজী নাবিল আহমেদ বলেছেন, ‘আগুন সন্ত্রাস বিএনপি-জামায়াত চক্র দেশকে অস্থিতিশীল করার চক্রান্তে মেতে উঠেছে। দেশের বাইরে ও ভেতরে থেকে দেশবিরোধী অপতৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে। এই অপশক্তিকে রুখতে আওয়ামী লীগ রাজপথে ছিল, থাকবে। দেশের সাধারণ মানুষকে সঙ্গে নিয়ে আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে তাদের প্রতিহত করবো।’
শুক্রবার (২৯ সেপ্টেম্বর) বিকালে যশোর শহরের চৌরাস্তা মোড়ে আয়োজিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
দেশব্যাপী বিএনপি-জামায়াতের সন্ত্রাস, নৈরাজ্য, অপরাজনীতি ও অব্যাহত দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে জেলা আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, শ্রমিক লীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, মহিলা আওয়ামী লীগ, যুব মহিলা লীগ ও ছাত্রলীগ আয়োজিত উন্নয়ন ও শান্তি সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন দলের সহসভাপতি হায়দার গণী খান।
কাজী নাবিল বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ সারা বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছেন। তার সুদৃঢ় নেতৃত্বে বাংলাদেশ দুর্বার গতিতে এগিয়ে চলেছে। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়নে প্রধানমন্ত্রী নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। আমাদের বিশ্বাস, সকলে একযোগে কাজ করলে শেখ হাসিনাকে আবারও এ দেশের উন্নয়নের হাল ধরার সুযোগ করে দিতে পারবো।’
তিনি আরও বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যশোরের বিভিন্ন অবকাঠামোগত উন্নয়ন করেছেন। যশোরবাসীর স্বপ্ন পদ্মা সেতু, বিমানবন্দরের নবনির্মিত টার্মিনালসহ বিভিন্ন অবকাঠামো বাস্তবায়ন করেছেন। ২০৪১ সালে এ দেশ হবে উন্নত, সমৃদ্ধ ও স্মার্ট। আর তাই স্মার্ট বাংলাদেশ নির্মাণে জননেত্রী শেখ হাসিনার কোনও বিকল্প নেই। আমাদের সকলকে প্রধানমন্ত্রীর হাতকে শক্তিশালী করতে একসঙ্গে কাজ করে যেতে হবে।’
দেশের অব্যাহত উন্নয়ন প্রসঙ্গে এ সংসদ সদস্য বলেন, ‘বাংলাদেশ বিশ্বের ৩৫তম অর্থনৈতিক রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে। ভঙ্গুর রাষ্ট্র থেকে আজ উন্নয়নের রোল মডেল। সাধারণ মানুষ নানা ক্যাটাগরিতে ভাতা পাচ্ছেন। সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী শক্ত হয়েছে। শেখ হাসিনা রাষ্ট্রক্ষমতায় থাকলে এভাবেই উন্নয়ন হবে। ২০২৪ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ হবে। শেখ হাসিনার অধীনে নির্বাচনে অনিয়মের কোনও সুযোগ নেই।’ আগামী নির্বাচনে যশোরের ছয়টি আসনই প্রধানমন্ত্রীকে উপহার দেওয়ার আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
উন্নয়ন ও শান্তি সমাবেশে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তৃতা করেন জেলা আওয়ামী লীগ নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা একেএম খয়রাত হোসেন, মেহেদী হাসান মিন্টু, এসএম আফজাল হোসেন, যুবলীগ সভাপতি মোস্তফা ফরিদ আহমেদ চৌধুরী, লুৎফুল কবির বিজু, মহিলা আওয়ামী লীগ সভাপতি লাইজু জামান, যুব মহিলা আওয়ামী লীগ সভাপতি মঞ্জুন্নাহার নাজনীন সোনালী, শ্রমিক লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জাবেদ আলী, ইউপি চেয়ারম্যান আলীমুজ্জামান মিলন, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ মেহেদী হাসান, যশোর পৌরসভার প্যানেল মেয়র শেখ মোকছিমুল বারী অপু, যবিপ্রবি ছাত্রলীগের সভাপতি সোহেল রানা প্রমুখ।