মহামারি করোনাভাইরাসে (কোভিড-১৯) শনাক্তের ফের রেকর্ড হলো বাংলাদেশে। গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে ১১ হাজার ৫২৫ জনের দেহে এই ভাইরাসের জীবাণু শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে মোট আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে নয় লাখ ৬৬ হাজার ৪০৬ জনে।
এদিকে করোনায় দ্বিতীয় সর্বোচ্চ মৃত্যু হয়েছে বাংলাদেশে। গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে এই ভাইরাসে মারা গেছেন আরও ১৬৩ জন। এ নিয়ে করোনায় মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়াল ১৫ হাজার ৩৯২ জনে। মঙ্গলবার (৬ জুলাই) স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে সরকারি ও বেসরকারি ৬০৫টি ল্যাবরেটরিতে ৩৮ হাজার ৩৯টি নমুনা সংগ্রহ ও ৩৬ হাজার ৬৩১টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এ নিয়ে মোট নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা দাঁড়াল ৬৭ লাখ ৯৪ হাজার ১৯৩টি। গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষায় শনাক্তের হার ৩১ দশমিক ৪৬ শতাংশ। গত বছরের ৮ মার্চ প্রথম রোগী শনাক্ত হওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত শনাক্তের মোট হার ১৪ দশমিক শূন্য ২২ শতাংশ।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়ে উঠেছেন পাঁচ হাজার ৪৩৩ জন। এ নিয়ে দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পর চিকিৎসা শেষে সুস্থ হয়ে ওঠা রোগীর সংখ্যা আট লাখ ৪৪ হাজার ৫১৫ জন। ২৪ ঘণ্টায় সুস্থতার হার ৮৭ দশমিক ৩৯ শতাংশ।
গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় মৃত ১৬৩ জনের মধ্যে বয়সের হিসাবে বিশোর্ধ্ব পাঁচজন, ত্রিশোর্ধ্ব ১১ জন, চল্লিশোর্ধ্ব ২৭ জন, পঞ্চাশোর্ধ্ব ২৯ জন ও ষাটোর্ধ্ব ৯১ জন রয়েছেন। বিভাগওয়ারী হিসাবে দেখা গেছে, ঢাকা বিভাগে ৪৫ জন, চট্টগ্রামে ২৪ জন, রাজশাহীতে ২৪ জন, খুলনায় ৪৬ জন, বরিশালে ছয়জন, সিলেটে দুইজন, রংপুরে ১১ জন ও ময়মনসিংহ বিভাগে পাঁচজন রয়েছেন।
গত বছরের ৮ মার্চ দেশে প্রথম তিনজনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ১৮ মার্চ দেশে এ ভাইরাসে আক্রান্ত প্রথম একজনের মৃত্যু হয়।