দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ কিছুটা কমেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ৩২ হাজার ৮১০টি নমুনা সংগ্রহ ও ৩৩ হাজার ৩৩০টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এতে আক্রান্ত হিসেবে নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন আরও ছয় হাজার ৮৮৫ জন। এ নিয়ে দেশে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে মোট ১৪ লাখ ১২ হাজার ২১৮ জনে।
নমুনা পরীক্ষার তুলনায় ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ২০ দশমিক ৬৬ শতাংশ। এর আগের দিন (১৩ আগস্ট) এই ছিল ২০ দশমিক ৮৩ শতাংশ। দেশে এখন পর্যন্ত মোট নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৮৩ লাখ ৭৫ হাজার ৫২০টি। মোট পরীক্ষার তুলনায় শনাক্তের হার ১৬ দশমিক ৮৬ শতাংশ।
এ সময়ে আক্রান্ত হয়ে আরও ১৭৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ২৩ হাজার ৯৮৮ জনে। তাদের মধ্যে ১০৮ জন পুরুষ ও ৬৯ জন নারী। মৃতদের মধ্যে চারজন বাসায় ও বাকি ১৭৪ জন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। মোট মারা যাওয়াদের মধ্যে পুরুষ ১৫ হাজার ৮৪২ জন ও নারী ৮ হাজার ১৪৬ জন রয়েছেন।
গত তিন সপ্তাহে একদিনে এটাই সবচেয়ে কম রোগী শনাক্তের খবর। এর আগে গত ২৪ জুলাই ৬ হাজার ৭৮০ রোগী শনাক্ত হয়েছিল। এরপর শুক্রবার পর্যন্ত দৈনিক শনাক্ত আট হাজারের নিচে নামেনি। এর আগে গতকাল (১৩ আগস্ট) করোনা শনাক্ত হয়েছিল ৮ হাজার ৪৬৫ জন এবং একই সময়ে মৃত্যু হয়েছিল ১৯৭ জনের।
শনিবার (১৪ আগস্ট) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন সাত হাজার ৮০৫ জন। দেশে করোনাভাইরাস শনাক্ত হওয়ার পর এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ১২ লাখ ৮১ হাজার ৩২৭ জন।
২৪ ঘণ্টায় মৃতদের মধ্যে বিভাগওয়ারি হিসাবে দেখা যায়, ঢাকা বিভাগে ৬৭ জন, চট্টগ্রামে ৪৫ জন, রাজশাহীতে ১৪ জন, খুলনায় ২৩ জন, বরিশালে ৭ জন, সিলেটে ১১ জন, রংপুরে ৬ জন এবং ময়মনসিংহ বিভাগে ৫ জন রয়েছেন।
বয়সভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা যায়, গত ২৪ ঘণ্টায় মৃতদের মধ্যে শূন্য থেকে ১০ বছর বয়সী একজন, ১১ থেকে ২০ বছর বয়সী একজন, ২১ থেকে ৩০ বছর বয়সী চারজন, ৩১ থেকে ৪০ বছর বয়সী ১২ জন, ৪১ থেকে ৫০ বছর বয়সী ১৩ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছর বয়সী ৪০ জন এবং ১০৭ জন ষাটোর্ধ্ব ব্যক্তি মারা গেছেন।
গত বছরের ৮ মার্চ দেশে প্রথম তিনজনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ১৮ মার্চ দেশে এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রথম একজনের মৃত্যু হয়।