ঈদের ছুটি শেষে কর্মস্থলে ফিরতে শুরু করেছেন মানুষ। বৃহস্পতিবার (৫ মে) সকালে রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া ঘাটে যানবাহন কম থাকলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মানুষ ও যানবাহনের ভিড় বাড়তে থাকে।
সরজমিন বেলা ১১টার দিকে দৌলতদিয়া ঘাট ঘুরে দেখা যায়, রাজধানীগামী মানুষ দূরপাল্লার বাস, মাহিন্দ্র, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশায় ঘাটে এসে ফেরি ও লঞ্চে নদী পার হচ্ছেন। ঘাটের জিরো পয়েন্ট থেকে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের দৌলতদিয়া ইউনিয়ন পরিষদ পর্যন্ত তিন কিলোমিটার এলাকাজুড়ে যাত্রীবাহী বাস ও পণ্যবাহী ট্রাকের সারি রয়েছে।
দৌলতদিয়া লঞ্চঘাটের ম্যানেজার নুরুল আলম মিলন জানান, যাত্রী পারাপার নির্বিঘ্ন করতে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌপথে ২২টি লঞ্চ চলাচল করছে।
মাগুরা থেকে আসা ঢাকাগামী যাত্রী বিল্লাল খন্দকার বলেন, ‘একটি সফটওয়্যার ফার্মে চাকরি করি। এবার ছুটি কম পেয়েছি। শনিবার থেকে অফিস খোলা, তাই আজই চলে যাচ্ছি। কাল সড়কে চাপ থাকতে পারে।’
বিআইডব্লিউটিসি দৌলতদিয়া ঘাটের ব্যবস্থাপক প্রফুল্ল চৌহান বলেন, ‘বর্তমানে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌপথে যানবাহন পারাপারে ২১টি ফেরির মধ্যে ছোট-বড় মিলিয়ে ১৯টি ফেরি চলাচল করছে। যানবাহনের চাপ বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাকি দুটি ফেরি বহরে যুক্ত হবে। এবার ঈদের আগে অধিকাংশ যাত্রীই ভোগান্তি ছাড়া নদী পার হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। আশা করছি, ঈদের পরেও ঘাটে কোনও ভোগান্তি ছাড়াই মানুষ কর্মস্থলে যেতে পারবেন। ফেরিঘাটে আমরা সার্বক্ষণিক নজরদারি করছি।’