ঈদ শেষে কর্মস্থলে ফেরা মানুষের চাপ বেড়েছে রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া ফেরিঘাটে। শনিবার (৭ মে) সকাল থেকে ঘাট এলাকায় যানবাহন ও যাত্রীর চাপ তৈরি হয়। তীব্র তাপদাহে আটকে থাকা যানবাহনের যাত্রীদের পোহাতে হয় চরম ভোগান্তি।
সরেজমিনে রবিবার (৮ মে) দুপুর ২টার দিকে দৌলতদিয়া ঘাট ও সড়ক ঘুরে দেখা যায়, অনেক যাত্রী বাস থেকে নেমে ব্যাগ, পরিবারসহ হেঁটে ঘাটে যাচ্ছেন। কিছু কিছু জায়গায় ভ্যান, অটোরিকশা থাকলেও ভাড়া চাওয়া হচ্ছে কয়েকগুণ। এদিকে ঘাটের জিরো পয়েন্ট থেকে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের খানখানাপুর ছোট ব্রিজ পর্যন্ত যাত্রীবাহী বাস ও পণ্যবাহী ট্রাকের ১২ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে সিরিয়াল তৈরি হয়েছে। এর মধ্যে যাত্রীবাহী বাসের সংখ্যাই বেশি।
এদিকে ঘাটের ওপর চাপ কমাতে দৌলতদিয়া থেকে সাড়ে ১৩ কিলোমিটার দূরে রাজবাড়ী-কুষ্টিয়া আঞ্চলিক মহাসড়কের পাঁচ কিলোমিটারে যানবাহনের সারি রয়েছে।
সংশ্লিষ্টরা জানান, শনিবার ভোর ৬টা থেকে রবিবার ভোর ৬টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় দৌলতদিয়া ঘাট থেকে ফেরিগুলো ২৬৬টি ট্রিপে বিভিন্ন যানবাহন নিয়ে পাটুরিয়া গেছে। এর মধ্যে যাত্রীবাহী বাস ৮১৫টি, ট্রাক ৩৭৯টি, ব্যক্তিগত যানবাহন ও মাইক্রোবাস সাত হাজার ১৯৬টি ও মোটরসাইকেল ছিল তিন হাজার ২০৩টি। সব মিলিয়ে ১১ হাজার ৫৯৩টি যানবাহন দৌলতদিয়া ফেরিঘাট থেকে পার হয়ে পাটুরিয়া ঘাটে পৌঁছায়। এছাড়া প্রায় লক্ষাধিক মানুষ ফেরিতে নদী পার হয়েছেন।
এদিকে দৌলতদিয়া লঞ্চঘাট সূত্রে জানা যায়, শনিবার থেকে রবিবার ২৪ ঘণ্টায় ২২টি লঞ্চে নিয়মিত ১৬৬টি ট্রিপে প্রায় ৩০ হাজার যাত্রী দৌলতদিয়া থেকে পাটুরিয়া পৌঁছেছেন।
যশোর থেকে আসা দিগন্ত বাসের যাত্রী কামাল হোসেন বলেন, গতরাত ১টার দিকে গোয়ালন্দ বাসস্ট্যান্ডে এসে সিরিয়ালে আটকে পড়েছি। দীর্ঘ ১২ ঘণ্টা পার হলেও ফেরির দেখা পাইনি। আজ অফিস ছিল, কিন্তু ঢাকাই যেতে পারলাম না, অফিস করবো কিভাবে? এর ওপর গরমে জান যায় যায় অবস্থা।
বিআইডব্লিউটিসি দৌলতদিয়া ঘাট শাখার ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) মো. শিহাব উদ্দিন বলেন, অফিস ও তৈরি পোশাক প্রতিষ্ঠান একযোগে খুলে দেওয়ায় যাত্রী ও যানবাহনের চাপ বেড়েছে। এছাড়া বাংলা বাজার, শিমুলিয়া ঘাটের অধিকাংশ যানবাহন এ নৌপথ দিয়ে পারাপার হওয়ার চাপ আছে। বর্তমানে এই রুটে ছোট-বড় ২১টি ফেরি চলাচল করছে বলে জানান তিনি।