দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া ফেরিঘাটে যানবাহনের চাপ বাড়ছে। শুক্রবার (২৯ এপ্রিল) ভোর থেকে যাত্রীদের চাপ অব্যাহত রয়েছে। তবে ঘরমুখো যাত্রীরা বলছেন, তারা ভোগান্তি ছাড়াই নদী পার হতে পারছেন।
এদিকে মহাসড়কের শৃঙ্খলা বজায়ে রাখতে কাজ করছে পুলিশ। কিন্তু এখন পর্যন্ত যারা ঘরে ফিরছেন, তাদের বেশিরভাগই সোটরসাইকেল ও ব্যক্তিগত গাড়িতে গেছেন।
সকালে দৌলতদিয়া ঘাট ঘুরে দেখা যায়, নদী পার হয়ে আসা অধিকাংশ ফেরিতে ব্যক্তিগত গাড়ি ও মোটরসাইকেলের সংখ্যাই ছিল বেশি। যাত্রীবাহী পরিবহনের চাপ খুবই কম।
অপরদিকে রাজধানী থেকে নদী পার হয়ে আসা ঘরমুখো যাত্রীদের ভিড় লক্ষ্য করা গেছে দৌলতদিয়া লঞ্চঘাটে। পাটুরিয়া ঘাট থেকে আসা প্রতিটি লঞ্চেই ধারণক্ষমতার চেয়ে দ্বিগুণ যাত্রী নিয়ে ঘাটে আসছে।
ঢাকা থেকে আসা গোপালগঞ্জগামী কলেজছাত্র সাফাত বলেন, ‘পাটুরিয়া ঘাট পর্যন্ত লোকাল বাসে এসেছি। কোনও কষ্ট হয়নি। এরপর ফেরিতে নদী পার হয়ে দৌলতদিয়া ঘাটে এসেছি। এখন ঘাট থেকে দেখি কোন গাড়িতে বাড়ি যেতে পারি।’
সাভার থেকে আসা যশোরগামী যাত্রী সৌরভ শিকদার বলেন, ‘পাটুরিয়া ঘাট পর্যন্ত লোকাল বাসে এসে লঞ্চে দৌলতদিয়া ঘাটে এসেছি। সময় কম লাগে, তাই লঞ্চে নদী পার হয়েছি। তবে গতবারের চেয়ে এবার ভোগান্তি খুবই কম হয়েছে। চিন্তা করছি দৌলতদিয়া ঘাট থেকে ভাড়া মাইক্রোবাসে বাড়ি যাবো।’
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন করপোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) দৌলতদিয়া ঘাটের ব্যবস্থাপক প্রফুল্ল চৌহান জানান, বর্তমানে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌপথে ছোট-বড় মিলিয়ে ২১টি ফেরি যাত্রী ও যানবাহন পারাপারে কাজ করছে। ঈদ যত ঘনিয়ে আসছে, মনে হচ্ছে যাত্রী পারাপারের সংখ্যা বাড়ছে। আমরা সার্বক্ষণিক ফেরিঘাটে নজরদারি করছি। আশা করছি এবার ঈদে স্বস্তিতে সবাই গৌন্তব্যে পৌঁছাতে পারবে।