রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নবনির্মিত দৃষ্টিনন্দন আধুনিক ডাক ভবনের উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ বেলা সাড়ে ১১টার দিকে গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধানমন্ত্রী ভবনটির উদ্বোধন করেন। এর আগে ডাক বিভাগের নতুন ভবন উদ্বোধন মুহূর্ত স্মরণীয় করে রাখতে স্মারক ডাকটিকিট অবমুক্ত করেন তিনি।
ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব মো. আফজাল হোসেন এবং ডাক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. সিরাজ উদ্দিন প্রমুখ উপস্থিত থেকে অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন।
প্রধান অতিথির বক্তৃতায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, অনলাইনে বাজার করাসহ যাবতীয় সেবার পাওয়া যায়। ডাক বিভাগ থেকেও যেন এসব আধুনিক সেবা দেয়া যায়, সে ব্যবস্থা করতে হবে। আধুনিক পরিবহন ব্যবস্থা করতে হবে যাতে, ফলমূল সবজি ও খাবার ওই গাড়িতে ভালো থাকে। কুলিং সিস্টেম রাখতে হবে; গাড়ির সঙ্গে সঙ্গে ডাকঘরগুলোতে চেম্বারও করতে হবে, যাতে পণ্য ভালো রাখা যায়। রান্নাকরা খাবারও যেন এক যায়গা থেকে আরেক জায়গায় পাঠানো যায়। এ জন্য কুলিং ও ফ্রিজিং সিস্টেম করে দেয়ার ব্যবস্থা নিতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, লেটারবক্স অনেকে ভুলে গেছে। সবাই এসএমএস ও মেইল দেয়। কিন্তু দৃষ্টিনন্দন এই লেটারবক্স সদৃশ ভবন দেখলে চিঠি পাঠানোর কথা মনে পড়বে। ভবনে চিঠিপত্র ঝুলছে, চিঠি যাচ্ছে আসছে, এমন কিছু চিত্র যোগ করারও পরামর্শ দেন প্রধানমন্ত্রী।
জানা যায়, ৯১ কোটি ৭৩ লাখ টাকা ব্যয়ে ডাক ভবন নির্মাণ করা হয়েছে। ২টি বেজমেন্টসহ ১৪তলা ভবন নির্মাণের জন্য ‘বাংলাদেশ ডাক অধিদপ্তরের সদর দপ্তর’ শীর্ষক প্রকল্পটি ২০১৮ সালের ২০ মার্চ একনেকে অনুমোদিত হয়। নবনির্মিত ডাক ভবনে সুসজ্জিত ও সমৃদ্ধ লাইব্রেরি, আধুনিক পোস্টাল মিউজিয়াম, সুপরিসর অডিটরিয়াম, ক্যাফেটেরিয়া, ডে-কেয়ার সেন্টার, মেডিকেল সুবিধা, অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা এবং সার্বক্ষণিক ওয়াইফাইসহ অন্যান্য তথ্যপ্রযুক্তিগত সুবিধা রাখা হয়েছে।
ঢাকা জিপিও প্রায় ৬০ বছরের পুরোনো হয়ে যাওয়ায় ভবনটির ঊর্ধ্বমুখী সম্প্রসারণ সম্ভব নয়। ফলে স্থান সংকুলান না হওয়ায় দাপ্তরিক কর্মপরিবেশ ও গতিশীলতা মারাত্মকভাবে বিঘ্নিত হচ্ছিল। তাই অধিদফতরের সদর দফতর হিসেবে একটি আধুনিক সুযোগ-সুবিধাসম্পন্ন ও নান্দনিক স্বতন্ত্র ডাক ভবন স্থাপন করা হয়।