বিভিন্ন ইস্যুতে নারায়ণগঞ্জের আলোচিত সংসদ সদস্য এ কে এম শামীম ওসমানের সাথে নারায়ণগঞ্জ সিটি মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভীর বিরোধ দীর্ঘ দিনের। বংশপরম্পরায় চলে আসা এ বিরোধ কখনো প্রকাশ্যে আবার কখনো গোপনে চলে আসছে। হার মানতে চায়নি কেউই কারো কাছে। তবে দুইজনের সেই দীর্ঘ দিনের বিরোধে অবশেষে শীতল হাওয়া বইতে শুরু করেছে বলে মনে করছেন নারায়ণগঞ্জবাসী।
গত ২৫ জুলাই রোববার মেয়র আইভীর মা মমতাজ বেগমের মৃত্যুর পর চুনকা পরিবার (আইভীর পরিবার) ও ওসমান পরিবারের (শামীম ওসমানের পরিবার) মধ্যে নতুন করে যোগাযোগ শুরু হয়।
মেয়র আইভীকে সান্ত্বনা ও সমবেদনা জানাতে ওই রাতেই দেওভোগ চুনকা কুটিরে যান ওসমান পরিবারের বর্তমান অভিভাবক ব্যবসায়ী নেতা এ কে এম সেলিম ওসমান এমপি। তিনি আইভীর মায়ের মৃত্যুতে সমবেদনা জানান এবং ধৈর্য্য ধারণের কথা জানিয়ে আইভীকে সান্ত্বনা দেন। এরপর গত মঙ্গলবার সংসদ সদস্য এ কে এম শামীম ওসমান যান আইভীর বাড়িতে। এর আগে তিনি নেতাকর্মীদের নিয়ে আইভীর মা মমতাজ বেগমের কবর জিয়ারত করেন এবং দোয়ায় অংশ নেন। আইভীর বাড়িতে গিয়ে সমবেদনা জানান শামীম ওসমান। আইভী-শামীম ওসমান পাশাপাশি বসে দীর্ঘ সময় কথা বলেন। আইভীর মায়ের স্মৃতিচারণ এবং তার জন্য দোয়া করেন শামীম ওসমান।
এ দিকে আইভীর বাড়িতে শামীম ওসমানের যাওয়া এবং তাকে সমবেদনা জানানোর বিষয়টি নারায়ণগঞ্জের রাজনৈতিক মহল থেকে শুরু করে মাঠ পর্যায়ে আলোচনার বিষয়ে পরিণত হয়।
অনেকে বলছেন, নতুন করে শুরু হয়েছে নারায়ণগঞ্জের রাজনীতি। আওয়ামী লীগে এর প্রভাব বেশি পড়বে। এ ছাড়া শামীম-আইভীর বিরোধ মিটে গেলে সুফল পাবেন নারায়ণগঞ্জবাসী।