এমভি আবদুল্লাহ জাহাজের ২৩ নাবিক আজ মঙ্গলবার (১৪ মে) বাড়ি ফিরবেন। উৎকণ্ঠা নিয়ে দীর্ঘ অপেক্ষার পর তাদের বাড়ি ফেরাকে ঘিরে প্রস্তুতির যেন শেষ নেই স্বজনদের।
ওই ২৩ নাবিকের একজন স্টুয়ার্ড পদে কর্মরত মো. নুরু উদ্দিন। চট্টগ্রামের কর্ণফুলী থানাধীন দক্ষিণ শাহ মীরপুর এলাকার বাসিন্দা তিনি। তার জন্য নিজ হাতে কেক তৈরি করে অপেক্ষায় আছেন স্ত্রী জান্নাতুল ফেরদৌস। একটির ওজন তিন পাউন্ড, অপরটি দেড় পাউন্ডের। তিন পাউন্ডের কেকটিতে জাহাজের লোগো ব্যবহার করা হয়েছে। লেখা হয়েছে, ‘ওয়েলকাম ব্যাক’।
জান্নাতুল ফেরদৌস বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘এত বড় বিপদ থেকে রক্ষা পেয়ে দেশে ফিরছে, কেমন লাগছে তা বলে প্রকাশ করতে পারবো না! কাল আমিও সদরঘাটে যাবো তাকে রিসিভ করতে। তাকে সঙ্গে করে বাড়ি নিয়ে আসবো। তার পছন্দের সব খাবার রান্না করা হচ্ছে। সে কেক পছন্দ করে। আমি তার জন্য সাড়ে চার পাউন্ডের দুটি চকলেট কেক তৈরি করেছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘এর আগেও সে জাহাজে কাজ শেষে দেশে ফিরছে। আমরা কখনও বিমানবন্দর, আবার কখনও চট্টগ্রাম বন্দরের বিভিন্ন জেটি থেকে তাকে রিসিভ করেছি। কিন্তু এবারের বিষয়টি সম্পূর্ণ আলাদা।’
এমভি আবদুল্লাহ জাহাজের ২৩ নাবিক আজ মঙ্গলবার (১৪ মে) দুপুর ১২টার দিকে এমভি জাহান মণি নামে একটি লাইটার জাহাজ কুতুবদিয়া উপকূল থেকে নাবিকদের নিয়ে রওনা দিয়েছে। বিকাল ৪টার মধ্যে নাবিকরা চট্টগ্রাম বন্দরের নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনাল (এনসিটি)-১ নম্বর জেটিতে ওঠার কথা রয়েছে। সেখানে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ নাবিকদের নিয়ে এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করছে।
সোমবার (১৩ মে) সন্ধ্যা ৬টায় এমভি আবদুল্লাহ জাহাজ কক্সবাজারের কুতুবদিয়া উপকূলে নোঙর করে।
গত ৩০ এপ্রিল ভোর রাত ৪টার দিকে জাহাজটি সংযুক্ত আরব আমিরাতের মিনা সাকার বন্দর থেকে ৫৬ হাজার মেট্রিক টন চুনা পাথর নিয়ে দেশের পথে রওনা দেয়।
সোমালিয়ার জলদস্যুদের কবল থেকে দীর্ঘ এক মাস পর গত ১৩ এপ্রিল সোমালিয়ার সময় রাত ১২টা এবং বাংলাদেশ সময় রাত ৩টায় মুক্তি পান এমভি আবদুল্লাহ জাহাজসহ ২৩ নাবিক।