ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে পক্ষে কাজ না করায় স্কুলছাত্র ও তার বাবাকে আটকে মারধর এবং চাঁদা দাবির অভিযোগ উঠেছে নবনির্বাচিত মেম্বারের বিরুদ্ধে। ময়মনসিংহের মুক্তাগাছায় দাউগাঁও ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডে এ ঘটনা ঘটেছে। ভুক্তভোগীরা হলেন স্কুলছাত্র যুবায়ের ইসলাম ও তার পিতা পল্লী চিকিৎসক সেকান্দার আলী।
সোমবার কাজী নজরুল ইসলাম উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্র যুবায়ের ইসলাম প্রাইভেট শেষে বাড়ি ফেরার পথে বিজয়ী মেম্বার ধীরাজ আলী ও তার কর্মীসমর্থকরা তাকে তুলে নেয়। পরে স্থানীয় এক দোকানে আটকে রেখে তাকে মারধর করা হয়। খবর পেয়ে তার পিতা সেকান্দার আলী ঘটনাস্থলে এলে তাকেও মারধর করা হয়।
এ সময় বাবা-ছেলেকে আটকে দুই লাখ টাকা চাঁদা দাবির অভিযোগ উঠেছে। পরে স্থানীয়দের সহায়তায় যুবায়ের ইসলামকে উদ্ধার করে বিকালে ফুলবাড়িয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়।
যুবায়েরের বাাব সেকান্দার আলী বলেন, গত ২৮ নভেম্বর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ওই নির্বাচনে বিজয়ী মেম্বার প্রার্থী ধীরাজ আলীর পক্ষে কাজ না করে আমি পরাজিত মেম্বারপ্রাথী সাইদুর রহমানের পক্ষে কাজ করি। এসব ঘটনায় ধীরাজ নানাভাবে হুমকি দিয়ে আসছিল। সেই রেশ ধরেই আমার স্কুল পড়ুয়া ছেলেকে দোকানে আটকে রেখে মারধর করে। খবর পেয়ে আমি যাওয়ার পর আমাকেও শারীরিক নির্যাতন করা হয়। এরপরে দুই লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে ধীরাজ আলী।
তিনি বলেন, মারধরের কারণে আমার ছেলে যুবায়েরের পিঠের হাড় ভেঙে গেছে। সে হাসপাতালের বিছানায় পড়ে আছে। জানি না পুরোপুরি সুস্থ হয়ে উঠবে কিনা।
তবে মেম্বার ধীরাজ আলী বলেন, গতরাতে পাশের বাড়িতে টিনের চালে ঢিল দেওয়াকে কেন্দ্র করে সেকান্দার আলীর ছেলে যুবায়ের ইসলামকে লোকজন ধরে নিয়ে এসে দোকানে আটকে রাখে। স্থানীয় লোকজন তাকে মারধর করেছে। খবর পেয়ে তার বাবা সেকান্দর আলী ঘটনাস্থলে এসে বেয়াদবি করল তাকে আমি দুটি থাপ্পড় দিয়েছি। এর বেশি কিছু ঘটনা ঘটেনি বলে দাবি করেন তিনি।
এ বিষয়ে দাউগাঁও ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান খন্দকার জামাল উদ্দিন বাদশা বলেন, নির্বাচনকে কেন্দ্র করে স্কুলছাত্র যুবায়ের ও তার বাবাকে মারধরের ঘটনা শুনেছি। আগে যুবায়েরের চিকিৎসা করার কথা বলেছি। পরে এ বিষয়ে থানা পুলিশের সঙ্গে কথা বলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
মুক্তাগাছা থানার ওসি মাহমুদুল হাসান বাংলা ট্রিবিউনকে জানান, স্কুলছাত্র তার বাবাকে মারধরের ঘটনায় অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।