চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের বিএম কনটেইনার ডিপোতে বিস্ফোরণে সৃষ্ট আগুন নেভাতে গিয়ে ফায়ার সার্ভিসের দুই কর্মীর মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে একজন মনিরুজ্জামান (৩২)। রবিবার (৫ জুন) ভোরে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে লাশ শনাক্ত তার মামা। অন্যজনের পরিচয় জানা যায়নি।
মনিরুজ্জামান সীতাকুণ্ডের কুমিরা ফায়ার সার্ভিসে কর্মরত ছিলেন। কুমিল্লার নাঙ্গলকোট থানার শামসুল হকের ছেলে তিনি।
মীর হোসেন বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘খবর পেয়ে হাসপাতালে এসে ভাগনের লাশ শনাক্ত করেছি। তার দুই বছরের একটি মেয়ে আছে। মনিরুজ্জামান আমার বড় বোনের ছোট ছেলে।’
আরও পড়ুন: স্বজনদের কান্নার রোল হাসপাতালজুড়ে
তিনি আরও বলেন, ‘গত শুক্রবার আমার সঙ্গে সর্বশেষ দেখা হয়েছিল। তার কর্মস্থল কুমিরায় গিয়েছিলাম। ছবিও তুলেছি। একসঙ্গে খেয়েছি। ৭-৮ বছর হয়েছে চাকরিতে যোগ দিয়েছে। দুই মাস আগে বদলি হয়ে কুমিরা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনে আসে। এর আগে ঢাকার প্রধান কার্যালয়ে কর্মরত ছিল। তার স্ত্রী-সন্তান গ্রামের বাড়ি নাঙ্গলকোটে থাকে।’
এদিকে, স্বজনদের আহাজারিতে ভারী হয়ে উঠেছে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পরিবেশ। আহত-নিহতদের স্বজনদের কান্নার রোল হাসপাতালজুড়ে। নিহতদের মধ্যে কারও বাবা, কারও ছেলে কিংবা কারও স্বামী ও নিকটাত্মীয় আছেন। হাসপাতালের ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে আহত ও দগ্ধদের। সেখানেও স্বজনদের চলছে আহাজারি।
চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির এএসআই আলাউদ্দিন তালুকদার জানান, সীতাকুণ্ডের বিএম কনটেইনার ডিপোতে বিস্ফোরণের ঘটনায় এ পর্যন্ত ১৫ জন মারা গেছেন। এর মধ্যে দুই জন ফায়ার সার্ভিসের কর্মী। তাদের একজন মনিরুজ্জামান। আরেকজনের নাম জানা যায়নি। নিহতদের মধ্যে আরও তিন জনের নাম জানা গেছে। তারা হলেন—মোমিনুল হক, মহিউদ্দিন ও হাবিবুর রহমান। অন্যদের পরিচয় পাওয়া যায়নি।