Image default
বাংলাদেশ

নীলফামারীতে দুই দিনে ৬৩ ডায়রিয়া রোগী হাসপাতালে

নীলফামারীতে হঠাৎ ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়েছে। দিনে গরম ও রাতে ঠান্ডা আবহাওয়ার কারণে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। গত দুই দিনে নীলফামারী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন ৬৩ জন। 

গত বুধবার ৩১ ও বৃহস্পতিবার ৩২ জন ভর্তি ছিলেন। শুক্রবার (২৫ মার্চ) সকালে ভর্তি ছিলেন ২০ জন। এর মধ্যে ৯ জন পুরুষ, ছয় জন নারী এবং পাঁচ জন শিশু। বাকি ১২ জন রোগী সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন।

হাসপাতালের ডায়রিয়া ওয়ার্ডে চিকিৎসা নিচ্ছেন আসন সংখ্যার তিন গুণ বেশি রোগী। শয্যা সংকটে বারান্দায় শুয়ে চিকিৎসা নিতে বাধ্য হয়েছেন অনেকে। রোগীদের চাপে চিকিৎসা দিতে হিমশিম খাচ্ছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এ অবস্থায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা।

জেলা সদরের টুপামারী ইউনিয়নের কাজলপাড়া গ্রামের লিমু (১৭) বলেন, ‘বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার দিকে পাতলা পায়খানা শুরু হয়। ওষুধ খেয়ে কাজ হয়নি বলে রাতে হাসপাতালে ভর্তি হই। এখন ভালো আছি। ডাক্তার এলে ওষুধ নিয়ে বাড়ি যাবো।’

তিন বছরের শিপু ইসলামকে হাসপাতালে এনেছেন তার মা আলিফা বেগম। তার পাতলা পায়খানা ও বমি হচ্ছিলো এক সপ্তাহ ধরে। বুধবার সকালে তাকে হাসপাতালে আনা হয়।

ওই ওয়ার্ডে কর্তব্যরত সেবিকারা (নার্স) জানান, গত এক সপ্তাহ ধরে রোগীর সংখ্যা অস্বাভাবিক হারে বেড়েছে। বৃহস্পতিবার ওয়ার্ডটিতে ভর্তি ছিলেন ৩২ জন। রাতে সাধারণত রোগীর সংখ্যা বাড়ে। এরপর চিকিৎসায় ভালো হয়ে অনেকে বাড়ি চলে যাচ্ছেন। শয্যা সংকটের কারণে চিকিৎসা সেবায় একটু ব্যাঘাত ঘটছে।

শুক্রবার (২৫ মার্চ) সকালে হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. গোলাম কিবরিয়া খান জানান, পাতলা পায়খানা, বমি—এসব উপসর্গ নিয়ে গত এক সপ্তাহ নারী, শিশু ও বয়স্করা হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন। দিনে গরম ও রাতে ঠান্ডা আবহাওয়া শরীরের ওপর প্রভাব ফেলছে। এ কারণে অনেকেই ডায়রিয়া আক্রান্ত হচ্ছেন। পাশাপাশি জ্বর-সর্দি-কাশির রোগীর সংখ্যাও অনেক বেড়েছে।

নীলফামারী জেনালের হাসপাপতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা আব্দুর রহীম বলেন, দিনে গরম ও রাতে ঠান্ডা আবহাওয়ার কারণে ডায়রিয়া আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। বাতাসে ধুলাবালির পরিমাণ বেড়ে যাওয়ায় শিশুরাও রেহাই পাচ্ছে না। এছাড়া অসতর্ক খাদ্যাভাস ও মশা-মাছি বৃদ্ধি পাওয়ায় ডায়রিয়ার প্রকোপ বেড়েছে।

ওয়ার্ডের আসন সংখ্যা বৃদ্ধির বিষয়ে জেলা সিভিল সার্জন ডা. জাহাঙ্গীর কবীর বলেন, আমরা হাসপাতালের সমস্যার কথা সবসময় কর্তৃপক্ষকে বলে থাকি। সরকারি বরাদ্দ পেলে কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তে ১০ শয্যার ডায়রিয়া ওয়ার্ডটি দ্রুত সম্প্রসারণ করা হবে।

Source link

Related posts

ভেসে গেছে আট হাজার পুকুরের মাছ, ২০ কোটি টাকার ক্ষতি

News Desk

যে সব কারণে ঝরে পড়ছে পাহাড়ের শিক্ষার্থীরা

News Desk

রমজানের আগে মুরগি-গরু-খাসির মাংসের দামও লাগামহীন

News Desk

Leave a Comment