নীলফামারীতে বেড়েই চলছে ডায়রিয়ার প্রকোপ। সেই সঙ্গে চাপ বাড়ছে হাসপাতালগুলোতে। গত ১০ দিনে নীলফামারী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ২৯৪ জন ডায়রিয়া রোগী।
বুধবার (১৩ এপ্রিল) দুপুর ১২টায় হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, ১৫ শয্যার ওয়ার্ডটিতে ৫৫ জন ডায়রিয়া রোগী ভর্তি আছেন। গত ১০ দিনে ২৩৯ জন চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন।
ডায়রিয়া ওয়ার্ডে গত রবিবার সকালে ১৩ মাসের সন্তান লিহাদুল ইসলামকে ভর্তি করেন লিপি বেগম। তার বাড়ি জেলা সদরের কৃন্দপুকুর ইউনিয়নের কাছারীপাড়া গ্রামে।
লিপি বেগম বলেন, ‘রবিবার ভোরে ছাওয়াটার পাতলা পায়খানা ও বমি শুরু হইলে বাড়িত স্যালাইন খাওয়াইনো, তাহো থামেছে না। এরপর বেলা ১১টার সময় হাসপাতালোত আনি দেখেছি জায়গা নাই। কোনোমতে একখান বিছিনার কোনোত থুইয়া স্যালাইন দেওয়া শুরু হইলো। আজি সুস্থ হইছে, ছুটি দিলে বাড়ি যামো।’
গত সোমবার সকালে পৌর শহরের হাড়োয়া মিশন এলাকার আয়শা ছিদ্দিকা ১১ মাসের সন্তান সিমরান আলীকে হাসপাতালের ডায়রিয়া ওয়ার্ডে ভর্তি করান। দুই দিনের চিকিৎসায় শিশুটি অনেকটাই সুস্থ।
তিনি বলেন,‘একান বিছিনাত দুই থাকি তিন জন করি রোগী। ছোট ছাওলার সঙ্গে বাবা-মা ও অন্য রোগীর আত্মীয় স্বজনের ভারোত দাঁড়ে থাকা যায় না।’
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, প্রতিদিন হাসপাতালে চিকিৎসায় সুস্থ হওয়ার পর যে হারে রোগী ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে, তার চেয়ে দ্বিগুণ ভর্তি হচ্ছে। এমন অবস্থা গত মার্চ থেকে চলছে।
চিকিৎসক কাজী আব্দুল মোমিন জানান, আবহাওয়া পরিবর্তনের ফলে ডায়রিয়া, জ্বর ও নিউমোনিয়াসহ বিভিন্ন রোগ বেড়েছে। এ কারণে হাসপাতালেও বেড়েছে রোগীর চাপ। এমন আবহাওয়ায় অনিরাপদ পানি পান ও খাদ্য গ্রহণের কারণে ডায়রিয়া ছড়িয়ে পড়ছে। বড়দের চেয়ে শিশুরা এতে বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন।