নেত্রকোনায় বাড়ছে পানি, লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি 
বাংলাদেশ

নেত্রকোনায় বাড়ছে পানি, লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি 

কয়েক দিনের টানা বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে নেত্রকোনার কলমাকান্দা, দুর্গাপুর ও বারহাট্টায় নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। সীমান্তবর্তী এ তিন উপজেলার নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হয়ে দেখা দিয়েছে বন্যা পরিস্থিতির। পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন এসব উপজেলার প্রায় লক্ষাধিক মানুষ।

স্থানীয় এলাকাবাসী ও প্রশাসন সাথে কথা বলে জানা গেছে, নেত্রকোনার সীমান্তবর্তী উপজেলা দুর্গাপুর, কলমাকান্দা ও বারহাট্টার নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হয়ে বন্যা দেখা দিয়েছে। ঢলের পানিতে অসংখ্য এলাকা প্লাবিত হয়েছে। ডুবেছে রাস্তাঘাট, ঘরবাড়ি, ব্যবসা ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। অসংখ্য পুকুর ও ঘের পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় ভেসে গেছে মাছ। 

সবচেয়ে বেশি খারাপ অবস্থা কলমাকান্দা উপজেলা সদরসহ বড়খাপন, পোগলা, খারনৈ, লেঙ্গুরা ও রংছাতি ইউনিয়ন, দুর্গাপুর উপজেলা সদরসহ কুল্লাগড়া, গাওকান্দিয়া ও চন্ডীগড় ইউনিয়ন। 

ভারী বৃষ্টিপাত ও পাহাড়ি ঢলে এসব এলাকার বিভিন্ন গ্রামের সাধারণ মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। দোকানপাট, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন দফতর বন্যার পানিতে প্লাবিত হয়েছে। গ্রামীণ সড়ক পানিতে তলিয়ে গেছে। এছাড়া বন্যার পানিতে সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় দুই উপজেলার সঙ্গে বিভিন্ন ইউনিয়নের যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে প্রায় লক্ষাধিক মানুষ। 

স্থানীয় প্রশাসন বন্যা দুর্গতদের দুর্ভোগ লাঘবে দুই উপজেলার বেশ কিছু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহারের জন্য খুলে দিয়েছে।

নেত্রকোনা পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা যায়, টানা ভারী বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে নেত্রকোনার কংশ, মগড়া, সোমেশ্বরী, ধনু, উব্দাখালিসহ ছোট-বড় সব নদ-নদীর পানি বাড়ছে। সোমেশ্বরী নদীর বিজয়পুর পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ৩৬ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে, দূর্গাপুর পয়েন্টে ৩৫ সেন্টিমিটার এবং উব্দাখালী নদী কলমাকান্দা পয়েন্টে বিপৎসীমার ৬৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশ বলেন, কয়েক দিনের টানা ভারী বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে নেত্রকোনায় বিভিন্ন এলাকা প্লাবিত হয়েছে। বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নানা ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। এরই মধ্যে বন্যা কবলিত প্রতিটি উপজেলায় ২০ মেট্রিক টন করে চাল ও নগদ দুই লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে শুকনা খাবারসহ ত্রাণ তৎপরতা অব্যাহত থাকবে বলে জানান তিনি। 

 

Source link

Related posts

ইপিজেডে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে প্রাণ গেল কিশোরের

News Desk

রংপুর হাসপাতালে চিকিৎসাসেবার দুরবস্থা, অসহায় রোগীরা

News Desk

বকেয়া বেতনের দাবিতে আবারও মহাসড়কে শ্রমিকরা, দীর্ঘ যানজট

News Desk

Leave a Comment