প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হচ্ছে শারদীয় দুর্গোৎসব। দেশের অন্যান্য স্থানের মতো চট্টগ্রামেও রবিবার (১৩ অক্টোবর) দুপুর থেকে শুরু হয় প্রতিমা বিসর্জন। এতে ঢাক-ঢোল বাজিয়ে দুর্গা মাকে বিদায় জানান ভক্তরা।
প্রতিমা বিসর্জনকে ঘিরে দুপুর থেকে চট্টগ্রামের পতেঙ্গা সমুদ্রসৈকতে বিপুলসংখ্যক মানুষের ঢল নামে। পতেঙ্গায় চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের তত্ত্বাবধানে চলে প্রতিমা বিসর্জন। এতে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার ও সিটি করপোরেশনের প্রশাসক মো. তোফায়েল ইসলাম।
এবার চট্টগ্রামে পতেঙ্গা সমুদ্রসৈকতে ছাড়াও পাথরঘাটার গঙ্গাবাড়ি এলাকায় কর্ণফুলীতে, কালুরঘাট, কাট্টলী রানী রাসমণি ঘাটেও প্রতিমা বিসর্জন দেওয়া হয়। বিভিন্ন নদী এবং পুকুরেও প্রতিমা বিসর্জন দেওয়া হয়েছে।
চট্টগ্রাম মহানগর পূজা উদযাপন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অধ্যাপক অর্পণ কান্তি ব্যানার্জি বলেন, ‘এবার চট্টগ্রামে ২ হাজার ৪৫৮টি মণ্ডপে শারদীয় দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এর মধ্যে মহানগরে ২৯৩টি এবং জেলার ১৫টি উপজেলায় পূজামণ্ডপ ছিল ২ হাজার ১৬৫টি। বেলা ১২টা থেকে পতেঙ্গা সৈকতে প্রতিমা বিসর্জন শুরু হয়। খুবই সুশৃঙ্খলভাবে প্রতিমা বিসর্জন দেওয়া হয়। এতে পুলিশ ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ প্রশাসন সহায়তা করছে।’
রবিবার বিকালে পতেঙ্গা সমুদ্রসৈকতে প্রতিমা বিসর্জন উপলক্ষে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন।
এতে প্রধান অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের প্রশাসক মো. তোফায়েল ইসলাম।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ ঐতিহ্যগতভাবে শান্তিময় সম্প্রীতির জনপদ। এখানে প্রত্যেক ধর্মাবলম্বী মানুষের ধর্মাচরণ পালনের অধিকার আছে। এ দেশে ধর্মীয় ভেদাভেদ নেই। সবাই নিজ ধর্মীয় উৎসব উদযাপন করেন। সম্মিলিত প্রচেষ্টায় প্রকৃত ধার্মিক ও মানবিক মানুষের সুদৃঢ় ঐক্যে শান্তির বাংলাদেশ গড়তে হবে। বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ। এই সম্প্রীতি অক্ষুণ্ন রাখতে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন সব ধরনের প্রচেষ্টা চালিয়ে যাবে। বিগত বছরগুলোর মতো এবারও শারদীয় দুর্গোৎসব উদযাপন উপলক্ষে পূজামণ্ডপে পরিচ্ছন্নতা, আলোকায়ন, পানীয়-জলের ব্যবস্থা এবং পূজার্থীদের নিরাপত্তাসহ পতেঙ্গা সমুদ্রসৈকতে শান্তিপূর্ণভাবে প্রতিমা বিসর্জনের আয়োজন করেছে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন।’
চট্টগ্রাম মহানগর পূজা উদযাপন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অধ্যাপক অর্পণ কান্তি ব্যানার্জির সভাপতিত্বে এবং ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট নিখিল চন্দ্র নাথের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন– সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলাম, প্রধান পরিচ্ছন্নতা কর্মকর্তা কমান্ডার লতিফুল হক কাজমি, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী জসিম উদ্দিন।