পদ্মার ভাঙন: নিজ অর্থায়নে জিও ব‍্যাগ ফেললেন উপজেলা চেয়ারম্যান
বাংলাদেশ

পদ্মার ভাঙন: নিজ অর্থায়নে জিও ব‍্যাগ ফেললেন উপজেলা চেয়ারম্যান

রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া ফেরিঘাটে পদ্মার ভয়াবহ ভাঙন শুরু হয়েছে। বর্তমানে পদ্মা নদীতে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় তীব্র স্রোতে বসতবাড়ি, দোকানপাট, নদীর পাড় ও ৬ নম্বর ফেরিঘাটে ভাঙন অব্যাহত রয়েছে। ভাঙন রোধে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) কোনও পদক্ষেপ না থাকায় এগিয়ে এলেন গোয়ালন্দ উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. মোস্তফা মুন্সী।

শনিবার (১৩ জুলাই) বেলা ১২টার দিকে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, দৌলতদিয়া ৬ নম্বর ফেরিঘাটের প্রায় অর্ধেক নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। ভাঙন রোধে উপজেলা চেয়ারম্যান মোস্তফা মুন্সীর উদ্যোগে ট্রাকে করে বালু এনে তা জিও ব্যাগের মাধ্যমে ভাঙনকবলিত স্থানে ফেলছেন শ্রমিকেরা।

এ সময় দৌলতদিয়া ফেরিঘাট এলাকায় বসবাসরত ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের লোকজন চেয়ারম্যানের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তারা বলেন, ‘নদীভাঙন রোধে এখন পর্যন্ত কেউ কোনও প্রকার উদ্যোগ গ্রহণ করেনি। কয়েকদিন আগে মোস্তফা মুন্সী ফেরিঘাটের ভাঙনকবলিত স্থান পরিদর্শন করেন। তখন তিনি আমাদের কথা দেন, কেউ যদি কোনও ব্যবস্থা না নেয় তাহলে আমি ব্যক্তিগতভাবে ভাঙন রোধে বালুভর্তি জিও ব্যাগ ফেলবো। তিনি তার কথা রেখেছেন।’

উপজেলা চেয়ারম্যান মোস্তফা মুন্সী বলেন, ‘আমরা পদ্মাপাড়ের মানুষ। পদ্মা নদী আমাদের সব গিলে খাচ্ছে। আমার বাড়িঘরও পদ্মা নদীতে চলে গেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়নের ছোঁয়া সব জায়গায় লেগেছে। এরই ধারাবাহিকতায় গোয়ালন্দ উপজেলাবাসীর একটাই চাওয়া তা হলো, নদীশাসন; যা করা হলে মানচিত্র থেকে হারাবে না গোয়ালন্দ।’

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন গোয়ালন্দ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বিপ্লব ঘোষ, জেলা আওয়ামী মোটরচালক লীগের সভাপতি তোফাজ্জেল হোসেন তপু, পৌর ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি রাতুল আহম্মেদ সজলসহ স্থানীয় এলাকাবাসী ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।

Source link

Related posts

গরমে রেললাইন বেঁকে যাওয়ার শঙ্কায় ধীরে চলছে ট্রেন

News Desk

রামেক হাসপাতালে ২৪ ঘণ্টায় ১২ জনের মৃত্যু, ৭ জনই চাঁপাইনবাবগঞ্জের

News Desk

সাফজয়ী কন্যাদের বরণের অপেক্ষায় কলসিন্দুর গ্রামবাসী

News Desk

Leave a Comment