রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া ঘাট প্রান্তে চার কিলোমিটার এলাকায় কয়েকশ’ যানবাহন নদী পারের অপেক্ষায় রয়েছে। ৮-১০ ঘণ্টায়ও ফেরির দেখা মিলছে না। পদ্মা পানিতে বাড়ায় ফেরি চলাচল ব্যাহত হচ্ছে।
গোয়ালন্দ উপজেলা পানি উন্নয়ন বোর্ড অফিসের গেজ রিডার (পানি পরিমাপক) সালমা খাতুন জানান, পদ্মায় জেগে থাকা ছোট-বড় চরগুলো এরই মধ্যে ডুবে গেছে। নদী তীরবর্তী নিম্নাঞ্চল ডুবতে শুরু করেছে। পানি বাড়তে থাকলে আগামী কয়েক দিনের মধ্যে পদ্মার গোয়ালন্দ পয়েন্টে পানির স্তর বিপৎসীমা অতিক্রম করবে। রবিবার (১৯ জুন) সকাল ৬টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় সেখানে ২১ সেন্টিমিটার পানি বেড়েছে।
সকালে ঘাট এলাকা ঘুরে দেখা যায়, পদ্মায় তীব্র স্রোতের কারণে প্রতিটি ফেরির নদী পার হতে প্রায় দ্বিগুণ সময় লাগছে। এদিকে ঘাটের জিরো পয়েন্ট থেকে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের গোয়ালন্দ ফায়ার সার্ভিস পর্যন্ত চার কিলোমিটার এলাকাজুড়ে পণ্যবাহী ট্রাকের সারি রয়েছে। এর মধ্যে এক কিলোমিটার এলাকায় রয়েছে যাত্রীবাহী বাস। তবে জনদুর্ভোগ কমাতে যাত্রীবাহী যানবাহন ও কাঁচামালবোঝাই ট্রাকগুলো অগ্রাধিকার ভিত্তিতে পারাপার করছে ঘাট কর্তৃপক্ষ।
যশোর থেকে ছেড়ে আসা কাঠবোঝাই ট্রাকচালক ফরিদুল ইসলাম বলেন, ‘আজ রাত ৩টার দিকে ঘাটে এসে সিরিয়ালে আটকা আছি। এখনও ফেরির দেখা পাইনি।’
বিআইডব্লিউটিসি দৌলতদিয়া কার্যালয়ের ব্যবস্থাপক প্রফুল্ল চৌহান বলেন, ‘পদ্মা নদীতে পানি বাড়ায় তীব্র স্রোতের সৃষ্টি হয়েছে। ফলে ফেরি চলাচল ব্যহত হচ্ছে। দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌপথে বহরে থাকা ২০টি ফেরির মধ্যে ১৬টি চলাচল করছে। ঘাট এলাকায় নদী পারের জন্য কিছু যানবাহন অপেক্ষায় আছে। আশা করছি বিকালের মধ্যে চাপ কমে আসবে। তবে দুর্ভোগ কমাতে যাত্রীবাহী যানবাহন ও কাঁচামালের ট্রাকগুলো অগ্রাধিকার ভিত্তিতে পারাপার করা হচ্ছে।’